ইউনিয়ন ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১৯ কোটি টাকা উধাও

0
50
ইউনিয়ন ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১৯ কোটি টাকা উধাও
ইউনিয়ন ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১৯ কোটি টাকা উধাও

ইউনিয়ন ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১৯ কোটি টাকা উধাও। ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত ইউনিয়ন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় সংলগ্ন গুলশান শাখার ভল্ট থেকে এই ঘটনা ঘটে। গত সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শক দল দেশের বেসরকারি এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির বিষয়ে এমন তথ্য উদঘাটন করে। এখন ব্যাংকটির সব শাখার ভল্ট পরিদর্শন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

জানা গেছে, ওইদিন বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি পরিদর্শক দল ইউনিয়ন ব্যাংকের গুলশান শাখা পরিদর্শনে যায়। সকাল ১০টার আগেই তারা শাখায় গিয়ে উপস্থিত হন। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী শুরুতেই পরিদর্শক দল ব্যাংকের ভল্ট পরিদর্শন করে।

কাগজে-কলমে শাখার ভল্টে ৩১ কোটি দেখানো হলেও সেখানে ১২ কোটি টাকা পায় পরিদর্শক দল। তাৎক্ষণিক বাকি টাকার বিষয়ে ব্যাংকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা কোনো জবাব দিতে পারেননি।

উল্টো বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন তৎপরতা শুরু করে শাখা কর্তৃপক্ষ। একপর্যায়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি পক্ষও এ ঘটনায় কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার পক্ষে অবস্থান নেয়।

এ বিষয়ে জানতে ইউনিয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ বি এম মোকাম্মেল হক চৌধুরীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে হোয়াসটঅ্যাপে লিখিত প্রশ্ন করা হলেও তিনি উত্তর দেননি।

বিষয়টি জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়ন ব্যাংকের ভল্টের টাকায় গরমিল হতে পারে। বিষয়টি আমি এখনও জানি না। তবে কেনো ব্যাংকের বিরুদ্ধে এমন কোনো তথ্য পাওয়া গেলে অবশ্যই রুলস অ্যান্ড রেগুলেটরি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গত মে পর্যন্ত ইউনিয়ন ব্যাংকে মেঘনা পেট্রোলিয়ামের আমানত ছিল ২১৭ কোটি টাকা, পদ্মা অয়েলের ১৫০ কোটি, যমুনা অয়েলের ১৫০ কোটি, চট্টগ্রাম ওয়াসার ৯২ কোটি, সিলেট গ্যাস ফিল্ডসের ৯৮ কোটি, পেট্রোবাংলার ৩২ কোটি, তিতাস গ্যাসের ১৫ কোটি টাকা।

এছাড়া সড়ক ও জনপথ অধিদফতর, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহী, ইসলামী ফাউন্ডেশন, বিসিআইসি, বাখরাবাদ গ্যাস, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য মন্ত্রণালয় এ ব্যাংকে টাকা রেখেছে।