দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দরের নান্দেরাই গ্রাম থেকে মা ও ছেলেকে অপহরণের পর ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় গ্রেপ্তার সিআইডি পুলিশের এএসপি সারোয়ার কবীরসহ পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত ৫ জন হলেন, এএসপি সারোয়ার কবীর, এএসআই হাসিনুর রহমান, কনেস্টবল আহসান উল ফারুক, চালক হাবিবুর রহমান ও যার অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের অপহরণ করা হয় ফসিউল আলম পলাশ।
এছাড়া অপহরণের শিকার জহুরা বেগম ও তাঁর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম।
বুধবার (২৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কালো গ্লাসের মাইক্রোবাসে করে কঠোর নিরাপত্তায় পাঁচ অভিযুক্তকে দিনাজপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হয়। অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বনাথ মন্ডল তাদের জেল-হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
স্বজনরা জানায়, গত সোমবার (২৩ আগস্ট) রাতে চিরিরবন্দরে জোহরা বেগম ও ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকে মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায় অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও র্যাবকে জানানো হলে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে পুলিশ।
জহুরা বেগমের বাড়ির লোকজন র্যাব, ডিবি পুলিশসহ বিভিন্ন জায়গায় আটকের বিষয়ে খোঁজ নেয়। কিন্তু কেউ আটকের বিষয়ে কিছু বলতে পারে না। পরে অপহরণকারীরা মোবাইলে জহুরা বেগমের স্বামী লুৎফর রমান ও দেবর রমজানের কাছে প্রথমে ৫০ লাখ এবং পরে ১৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
সদর উপজেলার হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বাঁশেরহাট থেকে গত মঙ্গলবার বিকেলে আটক করা হয়। আটককৃতদের দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নেয়া হলে বুধবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হয়।