প্রধানমন্ত্রীর আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের স্বপ্ন এবার ক্যাশলেস সোসাইটি বিনির্মাণের। মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে সোনালী ব্যাংকের উদ্যোগে চালু হওয়া রেমিট্যান্স সেবা ‘ব্লেজ’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘জিজিটাল বাংলাদেশের পরবর্তী স্বপ্ন হলো একটি ক্যাশলেস সোসাইটি বিনির্মাণ করা। এই ব্লেজ সার্ভিস ক্যাশলেস সোসাইটিরই একটি অংশ।’
ব্লেজ আন্তঃসীমান্ত লেনদেনের একটি নেটওয়ার্ক, ৩৬৫ দিনে সার্বক্ষণিক সেবা পাওয়া যাবে এখানে। বাংলাদেশে ৩৫টি ব্যাংকের মাধ্যমে এই সার্ভিস ৫ সেকেন্ডেরও কম সময়ে ব্যাংক হিসাবে টাকা জমা করবে। সোনালী ব্যাংক, হোমপে এবং আইটিসিএলের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত দেশে এই প্রথম ব্লেজ সার্ভিস চালু হলো।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের পরবর্তী ধাপ হলো স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ক্যাশলেস সোসাইটি বিনির্মাণ করা।’ সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ কীভাবে হবে, তা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘তারা তাদের মোবাইল ফোনে টাকা পাবে।
যে টাকাটা তারা একটা দোকানে গিয়ে খরচ করবে, সেটাও তারা মোবাইলে পেমেন্ট করে দেবে। তাদের হাতে আর ক্যাশ রাখার প্রয়োজন হবে না। তাদের কষ্ট করে আয় করা টাকাটা তাদের থেকে কেউ চুরি করে নেবে না।’
প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শক্তিশালী নেতৃত্ব ও নির্দেশনার মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে গত ১২ বছরে আইটি খাতের উন্নয়নে ব্যাপক সফলতা লাভ করেছে।
তথ্য ও প্রযুক্তি সারা বিশ্বের মানুষের জীবনধারা ও অর্থনীতিতে পরিবর্তন এনেছে এবং চলমান করোনাভাইরাসের মহামারী তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে।’
জয় বলেন, ‘ডিজিটাইজেশনের কারণে বাংলাদেশ কভিড-১৯ মহামারীকালে বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক ভালোভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে।
বাংলাদেশ মহামারী শুরুর পরপরই ভিডিও কনফারেন্সিং এবং ই-ফাইলিংসহ বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করে। বাংলাদেশ সফলভাবে এই সকল প্রযুক্তি ব্যবহার করে।’
সোনালী ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরো যুক্ত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহেমদ পলক, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল, সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউর রহমান প্রমুখ।