৬ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কারসাজিতে সাকিব

0
34
৬ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কারসাজিতে সাকিব
৬ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কারসাজিতে সাকিব

৬ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কারসাজিতে ক্রিকেটার সাকিব আল-হাসানের নাম এসেছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ফরচুন সুজ, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, ওয়ান ব্যাংক, এনআরবিসি ব্যাংক, আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড ও বিডিকম অনলাইন লিমিটেড।

প্রতিষ্ঠানগুলোর বেনিফিশিয়ারি অ্যাকাউন্টের (বিও) মাধ্যমে ১০৪ কোটি টাকা লেনদেন করেছেন সাকিব। সবচেয়ে বেশি ৪৬ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে ওয়ান ব্যাংকের শেয়ারে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব পুঁজিবাজারে কারসাজির নায়ক আবুল খায়ের হিরো গ্রুপের সদস্য। তিনি মোনার্ক হোল্ডিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান। আবুল খায়ের হিরোর স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান মোনার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)।

ওই ছয় প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কারসাজির ঘটনায় আবুল খায়ের হিরোর প্রতিষ্ঠান ও পরিবারের সদস্যদের শাস্তি দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কিন্তু সাকিবকে শাস্তির আওতায় আনা হয়নি।

সাকিব আল হাসান বিএসইসির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর বা শুভেচ্ছাদূত। এ কারণে কারসাজি চক্রে জড়িতদের তালিকায় নাম আসার পরও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি— মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে বিএসইসিও মুখ খুলছে না। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে সাকিবকে না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

তদন্তে সাকিব আল হাসানের নামে দুটি বিও অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ফরচুন সুজের শেয়ার কেনাবেচার তথ্য মেলে। এর মধ্যে ইবিএল সিকিউরিটিজের বিও অ্যাকাউন্টে ২০২১ সালের ২০ মে থেকে ১৭ জুন সময়ে ২১ লাখ ৩৭ হাজার ৫৫৬টি শেয়ার লেনদেন করা হয়েছে। সাকিব শেয়ার কেনেন ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৩১৩টি, বিক্রি করেন এক লাখ ৮৩ হাজার ২৪৩টি। যা টাকার অঙ্কে দাঁড়ায় ১৬ কোটি ৬০ লাখ ৬৭ হাজার ৩৯১।

একই প্রতিষ্ঠানের আরেকটি বিও অ্যাকাউন্টের (১৬০৪৫৩০০৬৯৫৮৫৫৭৪) মোট ১৭ লাখ ৮৩ হাজার ২৫২টি শেয়ার লেনদেন করেন সাকিব। এর মধ্যে ১৫ লাখ ৮৩ হাজার ২৫২টি শেয়ার কেনেন তিনি, বিক্রি করেন দুই লাখ শেয়ার। যা টাকার অঙ্কে দাঁড়ায় এক কোটি ৬৬ লাখ ছয় হাজার ৭৩৯।

ডিএসইর তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিমা খাতের প্রতিষ্ঠান এশিয়া ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের শেয়ার ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ অক্টোবর সময়ে কারসাজির মাধ্যমে ৩০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৬৮ টাকা ৬০ পয়সা পর্যন্ত বাড়ানো হয়। যা শতাংশের হিসাবে ১২৩ দশমিক ৪৫। এ সময়ে ১৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শেয়ারটি কারসাজির প্রমাণ পায় বিএসইসি।