বাংলাদেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। ২২তম প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন আগামী ৩১ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন। তারপর দায়িত্ব নেবেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট, আপিল বিভাগের বিচারক বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করেছেন। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনে সই করেন সচিব (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মো. গোলাম সারওয়ার।
এর আগে ২০১৩ সালের ২৮ মার্চ আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
কুষ্টিয়ার সন্তান হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। তিনি জেলার খোকসা উপজেলার রমানাথপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম আব্দুল গফুর মোল্লা। ১৯৭২ সালে তিনি খোকসা জানিপুর পাইলট হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। আইএসসি পাস করেন ১৯৭৪ সালে সাতক্ষীরার সরকারী পিসি কলেজ থেকে।
হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বিএ পাস করেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ থেকে। এমএ পাস করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে। এলএলবি পাস করেন ধানমন্ডি ল’ কলেজ থেকে।
হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ২০০১ সালে হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। পরে ২০০৯ সালে হাইকোর্ট ডিভিশনে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। তার অপর ভাই বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী আপিল বিভাগের বিচারপতি ছিলেন। এ বছরই তিনি অবসরে গেছেন।
১৯৮১ সালে ঢাকা জজ কোর্টে আইন পেশায় যোগ দেন । ১৯৮৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৮ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন তিনি। ২০০৯ সালে হাইকোর্ট ডিভিশনের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
২০১৩ সালের ২৮শে মার্চ আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান । প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী খুলনা সিটি কর্পোরেশন, কুষ্টিয়া পৌরসভা, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন সংস্থা এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান আইন উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসাবে কাজ করেছেন।