ভারতের রাজধানী দিল্লিতে স্কুল খুলছে ১ সেপ্টেম্বর। ধাপে ধাপে স্কুল, কলেজ, কোচিং সেন্টার খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি সরকার। আপাতত স্কুলে শুধু নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীরা যেতে পারবে। কোনও ছাত্র-ছাত্রীরাকেই স্কুলে যাওয়ার জন্য জোর করা হবে না বলে জানিয়েছেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ শিশোদিয়া।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, সোমবার বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা ঘোষণা করেছে দিল্লির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (ডিডিএমএ)।
ডিডিএমএ-এর নীতিমালায় বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে জরুরি ব্যবহারের জন্য কোয়ারেন্টাইন রুম চালু রাখতে হবে। এ ছাড়া সামাজিক তথা শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার অংশ হিসেবে ছোট ছোট দলে ভাগ করে দুপুরের খাবার খাওয়ার ব্যবস্থা করা।
নীতিমালায় আরও বলা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও লকডাউন জোনে থাকা ছাত্র ও শিক্ষকরা ক্লাসে আসতে পারবেন না। পাশাপাশি স্কুল-কলেজে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন উদ্যোগ। এর অংশ হিসেবে একটি নির্দিষ্ট দিনে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী ক্লাসে আসতে পারবে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকেও সেভাবেই রুটিন তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এর আগে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ১ সেপ্টেম্বর থেকে সব সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, কোচিং ক্লাস খোলার অনুমতি দেওয়া হবে। তবে স্কুলে যাওয়ার আগে শিশুদের অভিভাবকের সম্মতিপত্র বাধ্যতামূলক। কোনও ছাত্র-ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়ার জন্য জোর করা হবে না। কেউ স্কুলে যেতে রাজি না হলে তাকে অনুপস্থিত হিসেবে দেখানোও চলবে না। স্কুলে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।