মহামারি করনাভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে বুস্টার ডোজ নেওয়ার বয়সসীমা কমিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গতকাল (১৬ মার্চ) দিনগত রাতে বুস্টার ডোজ গ্রহণের বয়সসীমা ৪০ বছর থেকে কমিয়ে ১৮ বছর নির্ধারণের কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর শামসুল হক স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিবস উপলক্ষে কোভিড ভ্যাকসিনেশন বিশেষ ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই নির্দেশনায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিবস উপলক্ষে আগামী ১৭ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বিশেষ কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম চলবে। এই কার্যক্রমে সব টিকাদান কেন্দ্র থেকে প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজের টিকাদান চলমান থাকবে।
এই ক্যাম্পেইনে সারাদেশে ৩ কোটির বেশি মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের ৪ মাস পর বুস্টার ডোজ দিতে হবে। যাদের দ্বিতীয় ডোজের ৪ মাস অতিবাহিত হয়েছে তারা এসএমএস না পেলেও কেন্দ্রে আসলে টিকা নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে সম্মুখসারির যোদ্ধা, বয়োজ্যেষ্ঠ ও নারীদের প্রাধান্য দিতে হবে।
অ্যাস্ট্রেজেনেকা, মডার্না ও ফাইজারের কোভিড ভ্যাকসিন প্রাপ্যতা অনুযায়ী বুস্টার ডোজ হিসেবে প্রদান করতে হবে। ১২ বছরের বেশি যে সব ব্যক্তির প্রথম ডোজের টিকা নেওয়ার ২৮ দিন অতিবাহিত হয়েছে তাদের দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া হবে। যারা প্রথম ডোজের অ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকা নিয়েছেন, তাদের ২ মাস ব্যবধানে দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিশ্চিত করতে হবে।
১২ বছরের বেশি যেসব নাগরিক এখনও প্রথম ডোজের টিকা নেননি, তাদের এই ক্যাম্পেইনে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানানোর নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
‘একদিনে ১ কোটি’ প্রথম ডোজের ক্যাম্পেইনে যারা টিকা নিয়েছেন তাদের আগামী ২৮ থেকে ৩০ মার্চ দ্বিতীয় ডোজের টিকা আগের ক্যাম্পেইন কেন্দ্র থেকে দেওয়া যাবে। দেশব্যাপী আয়োজন করা উন্নয়ন মেলায় বুথ স্থাপন করে টিকা প্রদান করতে হবে।