কৃষি ব্যবস্থার উন্নতির ফলে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় সারা বছর ফলন দেয় এমন তরমুজ উৎপাদন করে সফল হয়েছেন তমরদ্দি ইউনিয়নের জোড়খালী গ্রামের কৃষক মিষ্টু মিয়া। তিনি তার ৫০ শতাংশ জমিতে হলুদ, কালো, সবুজ এই তিন জাতের তরমুজ চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। কারণ হলুদ রংয়ের তরমুজ চাষ হাতিয়া দ্বীপে এই প্রথম।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মাচায় মাচায় দুলছে হলুদ, কালো ও সবুজ রঙের তরমুজ। হলুদ রংয়ের তরমুজ দেখতে এবং কিনতে দ্বীপের বিভিন্ন এলাকা থেকে সাধারণ মানুষ ও ব্যাপারীরা প্রতিদিন খেতে ভিড় করছেন। অনেকে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে কৃষক মিষ্টু মিয়া জানান, রোজা ও লকডাউনের কারণে এবার তরমুজের দাম বেশি। এ পর্যন্ত তিনি ২ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন। আরো ২ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন। আগামীতে তিনি আরো বেশি জমিতে তরমুজ চাষ করবেন বলে জানান।
তিনি আরো বলেন, যেহেতু এটি বারোমাসি ফল সেহেতু বৃষ্টি শুরু হলে এই ৫০ শতাংশ জমিতে থাকা তরমুজ গাছে আবার ফলন দেখা দিবে।
এ ব্যাপারে হাতিয়া উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন জানান, হলুদ তরমুজের বৈশিষ্ট্য এটি খুব মিষ্টি ও সুস্বাদু। এর পুষ্টিগুণও বেশি। এই তরমুজ চাষ করলে মূলধনের চেয়ে ৪/৫ গুণ বেশি লাভ পাওয়া যায়। তরমুজ চাষে মিষ্টু মিয়াকে কৃষি বিভাগ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হয়েছে।