ছয় জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় ৭ জন, বগুড়ায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৩ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ জন, গাজীপুরে ২ জন ও নীলফামারীতে একজন নিহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় ২৪ জন ও পটুয়াখালীতে ২০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটেছে।
মির্জাপুরে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে বাসের ধাক্কায় চারজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও ৯ জন আহত হয়েছেন। শনিবার ভোররাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপজেলার দুল্যা মনসুর নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কী এলাকায় মহাসড়ক পার হওয়ার সময় বাসচাপায় মা ও দুই শিশু সন্তানসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
বগুড়ার কাহালু উপজেলায় প্রাইভেটকার ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও একজন আহত হয়েছেন। হতাহত সবাই প্রাইভেটকারের যাত্রী।
নিহতরা হলেন- নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার জহতনগর গ্রামের তানসের আলী ও তার ছেলে টগর, মফিজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহমান ও প্রাইভেটকার চালক সুমন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক সড়কের কালেরপুকুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তাড়াশ উপজেলায় বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুপুর পৌনে ২টার দিকে হাটিকুমরুল-বনপাড়া সড়কের খালকুলা বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার উজানিসার এলাকার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
গাজীপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছে। ভোরে মহানগরের পুবাইলের বসুগাঁওয়ে ট্রাক-লেগুনা, একই এলাকায় সুকুন্দী ব্রিজ এলাকায় অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে।
জলঢাকার টেংগনমারী-মীরগঞ্জ সড়কের কিসামত বটতলা শান্তিনগর বাজারে বেপরোয়া গতির একটি ট্রাকের চাপায় এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কের মৌকরণ এলাকায় যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে অন্তত ২০ আহত হয়েছেন। তাদের পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। শনিবার ভোরের দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।