স্যাটেলাইট ট্যাগ বসানো সুন্দরবনের চারটি কুমিরের মধ্যে একটি কুমির এখন বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার পানগুছি নদীতে বিচরণ করছে।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) সুন্দবনের অদূরে বলেশ্বর, কচা ও পানগুছি নদীর মোহনায় কুমিরটির সর্বশেষ অবস্থান শনাক্ত করেন কুমিরের গতিবিধিতে নজরে রাখা বিশেষজ্ঞ দলের কর্মকর্তারা।
পানগুছি নদীতে কুমির অবস্থান করছে এ খবর জানাজানি হলে নদী ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন শতশত রেনুপোনা সংগ্রহকারী ও ক্ষুদ্র জেলেরা। এর প্রভাবে মোরেলগঞ্জের সন্ন্যাসী ও কুমারখালী এলাকার পাইকারি রেনুপোনা সরবরাহকারী আড়তগুলোতে পোনা সংকট দেখা দিয়েছে।
সন্ন্যাসী গ্রামের আডতদার সাইফুল ইসলাম, আব্দুল মালেক হাওলাদার জানান, পানগুছি নদীতে কুমিরের অবস্থান সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে রেনুপোনা সংগ্রহকারী জেলেদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। তাই মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা আড়তগুলোতে রেনুপোনার সংকট দেখা দিয়েছে।
এর আগে লবণ পানির কুমিরের আচরণ ও গতিবিধি গবেষণার জন্য ১৩ মার্চ পশ্চিম সুন্দরবনের ভদ্রা নদীতে প্রাপ্তবয়স্ক দুটি স্ত্রী কুমির, ১৪ মার্চ সুন্দরবনের করমজল ও ১৫ মার্চ জোড়া এলাকার নদীতে দুটি পুরুষ কুমিরের পিঠে স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে অবমুক্ত করে বন বিভাগ।
কুমিরের গতিবিধিতে নজর রাখা বিশেষজ্ঞ দলের বরাত দিয়ে সুন্দরবনের করমজল বন্য প্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, ‘ট্যাগ বসানো তিনটি কুমির সুন্দরবন এলাকায় অবস্থান করছে। একটি কুমির বহু পথ ঘুরে এখন মোরেলগঞ্জের পানগুছি, পিরোজপুরের কচা ও শরণখোলার বলেস্বর নদীর মোহনায় ঘোরাফেরা করছে।‘
কুমিরটি দলছুট হয়ে সুন্দরবন এলাকার বাইরে চলে যাওয়ায় গত ১২ দিনে প্রায় ১০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে। এটি নিজের নিরাপদ পরিবেশ খুঁজতেই হয়তো এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছে।
মেহেদী হাসান রাব্বী
বাগেরহাট প্রতিনিধি।