স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশকে নিয়ে যা বললেন ব্রিটেনের রানী, প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী

0
33
রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ, প্রিন্স চার্লস ও বরিস জনসন
রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ, প্রিন্স চার্লস ও বরিস জনসন

স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষে অভিনন্দন জানিয়েছেন ব্রিটিশ রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ২১ মার্চ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে পাঠানো এই বিশেষ শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তিতে রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশের জনগণকে তার আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশের অব্যাহত সম্মৃদ্ধি কামনা করেন। ব্রিটেনের রানী তার শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, “বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তিতে আমি অত্যন্ত আনন্দিত এবং এই বিশেষ মুহূর্তে আপনাকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি ও একই সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণকে জানাচ্ছি শুভ কামনা।

আমাদের পারস্পরিক সম্পকের্র ভিত্তি গভীর বন্ধুত্বের ও সৌহার্দ্যের এবং এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য ৫০ বছর আগের মতো আজো অটুট রয়েছে। আমি আশা করি, একটি কঠিন বছরের পর বৈশ্বিক স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলা করে আমাদের আগামী দিনগুলো আবারও সুন্দর হয়ে ওঠবে।” ২৫ মার্চ রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স চার্লস আরেক ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানান।

বৃহস্পতিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের নবম দিন জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠানে এই ভিডিও বার্তাটি প্রচার করা হয়।

ভিডিও বার্তায় প্রিন্স চার্লস বলেন, আমরা সব সময় পরস্পরের অংশীদার থাকব।

তিনি বলেন, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে এবং ৩০ বছরে ৫০ লাখ মানুষের দারিদ্র্য বিমোচন হয়েছে। এছাড়া সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের অনেক উন্নতি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যুক্তরাজ্যের ছয় লাখ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাগরিক দুই দেশের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও শক্তিশালী ও জোরদার হবে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

শুক্রবার জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীর ১০ম দিনে সরাসরি আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় এই কথা জানান তিনি।

এদিকে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যিক রাজধানী ক্যানারি ওয়ার্ফের ওয়ান কানাডা স্কয়ার বিল্ডিংকে বাংলাদেশের পতাকার রঙে আলোক সজ্জিত করা হয়েছে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সহায়তায়। সেইসাথে আলতাব আলী পার্কে বাংলাদেশের পতাকা উড্ডয়ন করেন টাওয়ার হ্যামলেটস মেয়র জন বিগস, যুক্তরাজ্যস্থ বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম ও টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের স্পিকার আহবাব মিয়া। এই পতাকা উত্তলনের মাধ্যমে টাওয়ার হ্যামলেটস ৯ মাস ব্যাপী বিভিন্ন আয়োজনের সূচনা করল। এই ৯ মাসে নানা ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করা হবে।

স্বাধীনতার প্রথম প্রহরে যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে আইকনিক স্থাপনা ‘লন্ডন আই’কে বাংলাদেশের পতাকার লাল সবুজ রঙে আলোক সজ্জিত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের সম্পর্কের সূচনা হয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে। ১৯৫৬ সালে বঙ্গবন্ধু প্রথম যুক্তরাজ্য সফর করেন। সেই সময় থেকে সূচিত সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয় ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের জেল থেকে ছাড়া পেয়ে যুক্তরাজ্য হয়ে বাংলাদেশে যাওয়ার পথে।

৮ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্থ হিথ নাম্বার টেন ডাউনিং স্ট্রিটে বঙ্গবন্ধুর সাথে সাক্ষাত করেন। ১৯৭২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ব্রিটেন বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়।