সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হচ্ছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। শনিবার (৯ এপ্রিল) সকাল ১১টার মধ্যে শুরু হবে পাকিস্তান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির অধিবেশন।
গত বৃহস্পতিবার ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব বাতিল ও পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে পার্লামেন্ট পুনর্বহালেরও নির্দেশ দেন বিচারপতিদের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ।
সর্বোচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী, শনিবার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের অধিবেশন আহ্বান করতে বাধ্য হন জাতীয় পরিষদের স্পিকার। এদিকে শুক্রবার জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে ইমরান খান বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায় মেনে নিয়েছি। তবে এই রায়ে দুঃখও পেয়েছি।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অনাস্থা ভোটের মুখে ইমরান
তিনি বলেন, কোনো অবস্থাতেই পাকিস্তানে বিদেশিদের প্রতিষ্ঠা করা সরকার সহ্য করা হবে না। এমন কিছু ঘটলে সমর্থনের জন্য জনগণের কাছে ফিরে যাব। পাকিস্তান কোনো দেশের সঙ্গে একতরফা সম্পর্ক চায় না উল্লেখ করে ইমরান তার ভাষণে বলেন, আমরা এমন কোনো জাতি নই, যাদের টিস্যু পেপারের মতো ব্যবহার করা যেতে পারে। অনাস্থা প্রস্তাবের বিষয়ে নিজের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, কখনোই ‘আমদানি করা সরকার’ মেনে নেওয়া হবে না। এ জন্য জনগণের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করব।
ইমরান খান বলেন, তারা (বিরোধীরা) নিজেদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দুর্নীতির মামলা থেকে বাঁচতে একত্রিত হয়েছে। যদি তারা ক্ষমতায় যাওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হয় তাহলে আগাম নির্বাচনে যেতে সমস্যা কোথায়?
পাকিস্তানের বিচার ব্যবস্থাকে সম্মান করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালতের উচিৎ ছিল ‘বিদেশি ষড়যন্ত্রের’ যে অভিযোগ উঠেছে অন্তত সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করার অদেশ দেওয়া।
ইমরান আরো বলেন, অবশ্যই আমি আদালতের আদেশকে সম্মান করি। তবে তাদের উচিৎ ছিল আমাকে দেওয়া হুমকির চিঠিটি একবারের জন্য হলেও দেখতে চাওয়া।