বছরের প্রথম ‘সুপার মুন’ দেখল বিশ্ববাসী। দেখতে গোলাপি না হলেও নাসা এই পূর্ণচন্দ্রের নাম দিয়েছে ‘পিংক মুন’। অবশ্য মহামারীর প্রকোপ আর লকডাউনের মধ্যে মহাজাগতিক সৌন্দর্য্য খুব একটা উপভোগ্য হয়নি অনেকের কাছে।
ভৌগলিক অবস্থানের কারণেই ২০২১ সালের প্রথম ‘সুপার মুন’ দেখার সুযোগ পান অস্ট্রেলিয়াবাসী। তবে মহামারীর বিস্তাররোধে বন্ডি বিচ’সহ সব পর্যটন এলাকায় ছিল রাত্রিকালীন কারফিউ।
জনশূন্য ‘ইন্ডিয়া গেটে’র ওপরে পূর্ণচন্দ্র আলো ছড়াচ্ছিল কয়েকগুণ বেশি। করোনায় মৃত্যু আর সংক্রমণের মিছিলে ভারতের রাজধানীতে অবশ্য খুব একটা আগ্রহ ছিল না মহাজাগতিক এ সৌন্দর্য্য নিয়ে।
পৃথিবীর সাথে একমাত্র উপগ্রহটির দূরত্ব কমে আসায় সাধারণ পূর্ণিমার চাঁদের তুলনায় এটি দেখাচ্ছিল ১৫ গুণ বড় এবং ৩০ ভাগ বেশি আলোকিত।
মূলত বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন এবং নাইট্রোজেন কণার পরিমাণের ওপর নির্ভর করে চাঁদের রং। কিন্তু বসন্ত মৌসুমে আমেরিকা মহাদেশে ফোঁটা ‘পিংক ফ্লক্স’ ফুলের নামেই নাসা করেছে এই পূর্ণচন্দ্রের নামকরণ। আগামী মাসের শেষ নাগাদ বছরের দ্বিতীয় এবং শেষ সুপার মুন অবলোকন করবে বিশ্ব।