প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার একাদশ জাতীয় সংসদের এয়োদশ অধিবেশনে (২০২১ সালের বাজেট অধিবেশন) সরকারি দলের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সংসদ সদস্য বেগম সুলতানা নাদিরার প্রশ্নের জবাবে জাতীয় সংসদকে জানান ‘ সরকার উপকূলীয় অঞ্চল জুড়ে কৃত্রিম ম্যানগ্রোভ অরণ্য সৃষ্টির পাশাপাশি সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিয়ে এর জীববৈচিত্র্য রক্ষার মাধ্যমে সুন্দরবন সম্প্রসারণের বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।’
সংসদ নেতা শেখ হাসিনা “দেশের উন্নয়নে যে পদক্ষেপই নেওয়া হোক না কেন, সুন্দরবন এবং এর জীববৈচিত্র যেন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এ বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয়।”
বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের মাধ্যমে ২০১৫ সালে বাঘ শুমারি অনুযায়ী সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ১০৬টি। ২০১৮ সালের শুমারিতে এর সংখ্যা ১১৪টি পাওয়া গেছে। সুন্দরবনের কার্বন মজুদের পরিমাণ ২০০৯ সালের ১০৬ মিলিয়ন টন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৯ সালে ১৩৯ মিলিয়ন টন হয়েছে।
‘সুন্দরবন এবং এর জীববৈচিত্র রক্ষার বিষয়ে বর্তমান সরকার সবসময় আন্তরিক ও বদ্ধপরিকর,’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সুন্দরবনের আয়তন বাড়ানোর জন্য কৃত্রিম ম্যানগ্রোভ সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়ে সমগ্র উপকূলীয় অঞ্চলে এর বিস্তৃতি ঘটানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সুন্দরবনের বৃক্ষাদি এবং বন্যপ্রাণী রক্ষার জন্য তথা বন অপরাধ দমনের জন্য স্মার্ট পেট্রোলিংসহ নানাবিধ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’এ সময় সুন্দরবনের উন্নয়নে সরকারের নেওয়া নানান পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী ।
তিনি বলেন, জীব বৈচিত্রের আধার সুন্দরবনে এখন ৩৩৪ প্রজাতির উদ্ভিদ, ১৬৫ প্রজাতির শৈবাল, ১৩ প্রজাতির অর্কিড এবং ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণী রয়েছে। বন্যপ্রাণীর মধ্যে ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৫ প্রজাতির সরীসৃপ, ৮ প্রজাতির উভচর, ৩১৫ প্রজাতির পাখি, ২১০ প্রজাতির মাছ, ২৪ প্রজাতির চিংড়ি ও ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া আছে।
২০১৭ সালে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এলাকা সম্প্রসারণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে সুন্দরবনের প্রায় ৫৩% এলাকা অভয়ারণ্যের অন্তর্ভুক্ত।
