সিরিয়ায় মার্কিন হামলায় ১৮ ইরানপন্থি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। এছাড়া এই হামলায় দেশটিতে ইরানপন্থি দলগুলোর আবাসস্থল হিসেবে ব্যবহৃত স্থাপনাসহ অন্তত ২৬টি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাও ধ্বংস করা হয়েছে।
সিরিয়ার মানবাধিকার পর্যবেক্ষণকারী একটি গোষ্ঠীর বরাত দিয়ে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন সামরিক বাহিনী শুক্রবার ইরাক এবং সিরিয়ায় ইরানি বাহিনী এবং তেহরান সমর্থিত মিলিশিয়া গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক বিমান হামলা চালিয়েছে। গত সপ্তাহে সিরিয়া সীমান্তবর্তী জর্ডানের একটি সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার জবাবে যুক্তরাষ্ট্র এই হামলা চালাল।
প্রাণঘাতী সেই হামলায় ৩ মার্কিন সেনা নিহত এবং আরও ৪০ জনেরও বেশি সেনা আহত হয়েছিলেন। এই হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এর আগে ইরান-সমর্থিত বাহিনীকে দায়ী করেছিল। পরে গত রোববারের ড্রোন হামলায় সৈন্যদের মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ায় ওয়াশিংটন থেকে ব্যাপক বিমান হামলার নির্দেশ দেওয়া হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিক্রিয়া আজ থেকে শুরু হয়েছে। এটি (প্রতিক্রিয়া) আমাদের পছন্দের সময়ে এবং জায়গায় চলতে থাকবে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্য বা বিশ্বের অন্য কোথাও সংঘাত চায় না। তবে যারা আমাদের ক্ষতি করতে চায় তাদের সবাইকে এটি জানাতে হবে: আপনি যদি একজন আমেরিকানকেও ক্ষতি করেন তবে আমরা জবাব দেব।’
এএফপি বলছে, উত্তেজনার সাম্প্রতিক বৃদ্ধির পরও ওয়াশিংটন এবং তেহরান উভয়ই সর্বাত্মক যুদ্ধ এড়াতে চেয়েছে। আর তাই নিজেদের ওপর আরও হামলা এড়াতে পাল্টা হামলা চালানোর সময় তেহরানের সাথে সরাসরি সংঘর্ষ এড়াতে ইরানের ভূখণ্ডে আঘাত করেনি যুক্তরাষ্ট্র।