সব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগামী দুই মাসের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে নিবন্ধন (রেজিস্ট্রেশন) নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আজকের বৈঠকে ইভ্যালি বা ই-কমার্স নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এ বিষয়ে ওনারা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন, আমরা নিজেরাও বসেছিলাম এবং নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে একটি প্রিসাইড প্রোগ্রাম করে যারা যারা এ জাতীয় ই-কমার্সের সঙ্গে যুক্ত থাকবে তাদের সবাইকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। দুই মাসের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরুর আগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে নিরাপত্তা আমানত (ডিপোজিট) রাখতে হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে। যাতে কোনো রকমের কিছু হলে সেই ডিপোজিট থেকে সবাইকে টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠান যেন ভুয়া তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন না নিতে পারে এই বিষয়েও প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট) ও অন্যান্য যে ডিজিটাল মনিটরিং প্ল্যাটফর্ম ও ইন্টেলিজেন্স সংস্থাগুলো রয়েছে তাদের নির্দেশনা দিয়ে দেওয়া হয়েছে, তারাও এগুলো চরিত্র চেক করে দেখবে যাতে কেউ ফলস কিছু করতে না পারে।
রেজিস্ট্রেশনবিহীন কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন না করতে প্রচারণা চালানোর কথা উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম জনসাধারণের মধ্যে প্রচারের জন্য ব্যাপক ক্যাম্পেইনের নির্দেশনা দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সেখানে মানুষকে বোঝানোর জন্য ব্যাপকভাবে প্রচার চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই যে আমরা লিস্ট দিয়ে দিচ্ছি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই প্রতিষ্ঠানগুলো হলো সরকারের অথোরাইজড, সুতরাং কেউ এর বাইরে ট্রানজেকশেন করবেন না। যদি করেন সেটা আপনার নিজ দায়িত্ব। সেটার দায়িত্ব সরকার নেবে না।’