সংকট সমাধানে যুবকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। প্রযুক্তির নতুন নতুন আবির্ভাব। বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কার। তার সঙ্গে আমাদের তাল মিলিয়ে চলতে হবে। আর সেই কাজটা আমাদের যুব সমাজই করবে। ছাত্র, তরুণ তারাই করবে।
আজ ‘জাতীয় যুব দিবস’ এর উদ্বোধন এবং ‘জাতীয় যুব পুরস্কার’ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো কাজ করে নিজের অর্থ নিজে উপার্জন করে নিজের পায়ে দাঁড়ানো- এটা অত্যন্ত গর্বের বিষয়। কারণ কোনো কাজকে আমরা ছোট করে দেখি না। কোনো কাজকে আমরা ছোট করে দেখব না।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য আমরা একশ অর্থনৈতিক অঞ্চল সমগ্র বাংলাদেশে গড়ে তুলছি। যদি যথাযথভাবে প্রশিক্ষণ নিতে পারে, এই অর্থনৈতিক অঞ্চল, এখানে যে বিনিযোগ হবে, বিনিয়োগ হচ্ছে, যত বেশি বিনিয়োগ হবে, আমাদের দেশের ছেলে মেয়েদেরই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারীর সময় কৃষকদের ধান কেটে দিতে ছাত্ররা যেভাবে সহযোগিতা করেছে ঠিক এভাবেই যুব সমাজ যে কোনো কাজ করবার জন্য নিজেদেরকে প্রস্তুত রাখবে। যেটা আমাদের দেশকে উন্নত করবার ব্যবস্থা নেবে।
শোষিত বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন সংগ্রামের কথা তুলে ধরে দেশের উন্নয়নে জাতির পিতার নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথাও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। যুবকদের কল্যাণে আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগের কথাও বলেন।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল বক্তব্য দেন।