শ্রীলঙ্কায় কারফিউ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ

0
67
শ্রীলঙ্কায় কারফিউ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ
শ্রীলঙ্কায় কারফিউ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ

শ্রীলঙ্কায় খাবার এবং জ্বালানির জন্য আন্দোলন শুরু করেছে সাধারণ নাগরিকরা। আন্দোলন এতোটাই তীব্র আকার ধারণ করেছে যে তা সরকার বিরোধী বিক্ষোভে পরিণত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে। এরই মধ্যে বিধি নিষেধ আরো কঠোর করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে তারা ৩৬ ঘণ্টার কারফিউ জারি করেছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মধ্যে আছে ফেসবুক, টুইটার ও ইন্সটাগ্রাম। এই সাইটগুলোতে কেউ এখন অ্যাপ বা ব্রাউজার ব্যবহার করে ঢুকতে পারছেন না।

মোবাইল ফোন গ্রাহকরা হোয়াটস্যাপও ব্যবহার করতে পারছেন না। তাদের একটি মেসেজের মাধ্যমে জানানো হয়েছে, ‘টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

শ্রীলঙ্কায় কারফিউ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ

জ্বালানি ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অভাবে ক্ষুব্ধ হয়ে বৃহস্পতিবার শত শত বিক্ষোভকারী রাজাপাকসের বাসভবনের বাইরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা এসময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন।

বিক্ষোভ ঠেকাতে শুক্রবার কলম্বো ও তার আশেপাশে পুলিশ ৫৩ জনকে গ্রেপ্তার করে।

চলমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এবং তাদেরকে পরোয়ানা ছাড়াই সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সড়কগুলোতে টহল দিচ্ছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনিবার রাত ১০টা থেকে শুরু করে রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশের পশ্চিম রাজ্য থেকে কারফিউ ভঙ্গের অভিযোগে ৬৬৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাজধানী কলম্বোও পশ্চিম রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত।