দিন যত যাচ্ছে নেপালের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে। তাই নেপালের অর্থনীতিকে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতির সাথে তুলনা করা হচ্ছে। কারণ দেশটিরও বৈদেশির মুদ্রার রিজার্ভ কমে গেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গাড়ি, প্রসাধনী পণ্য, স্বর্ণসহ বিলাসী পণ্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়া আমদানি কমিয়ে রিজার্ভ বাড়াতে ব্যাংকে সুদহারও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
দেশটির সাধারণ মানুষ মুদ্রাস্ফীতির চাপে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। করোনার আগেও যেখানে এক লিটার সূর্যমুখী তেলের দাম ছিল বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১৫ টাকা, এখন প্রায় দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ২০৮ টাকায়।
একটি জরিপে দেখা গেছে, চলতি বছর দেশটিতে প্রধান কিছু মৌলিক খাদ্যের দাম ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
২ কোটি ৯০ লাখ জনসংখ্যার দেশ নেপাল মূলত জ্বালানিসহ প্রয়োজনীয় বেশির ভাগ পণ্য আমদানি করে দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রতিবেশী ভারত থেকে। আমদানি ব্যয় মেটাতে দিন দিন দেশটির রিজার্ভের পরিমাণ কমতে শুরু করেছে।
সম্প্রতি দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে দেশের অর্থনীতির অবস্থা শ্রীলঙ্কার অর্থনীতির অবস্থার সঙ্গে এখনই তুলনা করতে রাজি নয় দেশটির সরকার।