আগামী জুলাই থেকে দেশের সব প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আনতে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে সরকার।
আগামী ১ জুন জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য বাজেট বক্তব্যে এ কার্যক্রম শুরুর কর্মপরিকল্পনা জানাবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষ গঠনের দাপ্তরিক আদেশ জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়। আগামী মাসের মধ্যে কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ভবনের কোনো একটি তলায় তাদের দাপ্তরিক কার্যালয় স্থাপনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ সম্পর্কিত আইনের বিধিমালার খসড়া তৈরির কাজও প্রায় শেষ।
আইনের আওতায় ছয় ধরনের প্রোডাক্ট স্কিম নিয়ে সর্বজনীন পেনশন আইনের বিধিমালা প্রণয়ন করেছে অর্থ বিভাগ। দেশের ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী প্রায় ১০ কোটি নাগরিককে ৬টি শ্রেণি অনুযায়ী ভাগ করে এই স্কিম নির্ধারণ করা হয়েছে।
এগুলো হলো– বেসরকারি প্রাতিষ্ঠানিক চাকরিজীবী পেনশনার, প্রবাসী/অনিবাসী পেনশনার, শ্রমিক শ্রেণি, অপ্রাতিষ্ঠানিক জনগোষ্ঠী, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিভুক্ত জনগোষ্ঠী এবং শিক্ষার্থী।
প্রতিটি স্কিম হবে স্বতন্ত্র। সব স্কিমে একটি ন্যূনতম চাঁদার হার নির্ধারিত থাকবে। কেউ চাইলে বেশিও জমা করতে পারবে। কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত তহবিলে সংশ্লিষ্ট প্রোডাক্ট স্কিমের হিসাবে যাঁর যত বেশি চাঁদা জমা পড়বে, তাঁর আর্থিক সুবিধা পাওয়ার হারও তত বেশি হবে।
আগামী জুলাইয়ে আগ্রহী পেনশনারদের নিয়ে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। শুরুতে মডেল জেলা হিসেবে রাখা হতে পারে ঢাকা এবং দেশের অন্য যে কোনো একটি জেলাকে।
পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের মেয়াদ এক থেকে দুই বছর হতে পারে। এর সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে পরে তা সারাদেশে বিস্তৃত করা হবে। তবে শুরুর প্রক্রিয়াটি হবে সীমিত পরিসরে।
‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা’ সারাদেশে চালু হওয়ার পর অন্তত পাঁচ বছর তা ঐচ্ছিক রাখা হবে। পরে ২০৩০ সালের মধ্যে এটি সবার জন্য বাধ্যতামূলক করা হতে পারে।