শহীদ মিনারে ফুল দিতে গেলে টিকা সনদ বাধ্যতামূলক। এবছর একুশে ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিতে এলে করোনাভাইরাসের টিকার সনদ সঙ্গে রাখতে হবে এবং সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধান করতে হবে। এছাড়াও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে প্রতিটি সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৫ জন এবং ব্যক্তিপর্যায়ে একসঙ্গে সর্বোচ্চ দুই জন শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করতে পারবেন।
রবিবার (২৩ জানুয়ারি) অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো আখতারুজামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের পরিচালক মাহমুদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, রেজিস্ট্রার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক, প্রক্টর, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের প্রতিনিধি, অফিস প্রধান এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতিসমূহের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত/সংযুক্ত ছিলেন। সভার শুরুতে মহান ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
শহীদ মিনারে ফুল দিতে গেলে টিকা সনদ বাধ্যতামূলক
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত পরিসরে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হবে। তিনি আরও বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গত বছরের ন্যায় এ বছরও জনসমাগম এড়িয়ে চলার বিষয়ে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখার স্বার্থে অমর একুশে উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচি সুশৃঙ্খল, সুষ্ঠু ও সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য উপাচার্য সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।
সভায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে আইন অনুষদের ডিন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহকে সমন্বয়কারী, সমিতির সহ সভাপতি অধ্যাপক ড. সাবিতা রিজওয়ানা রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়াকে যুগ্ম সমন্বয়কারী এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানীকে সদস্য সচিব করে অমর একুশে উদযাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়।
সভায় কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি ছাড়াও মহান অমর একুশে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষে বিভিন্ন উপ কমিটি গঠন করা হয়।