আজ পবিত্র শবে বরাত। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে দিনটি পালন করার পাশাপাশি বিভিন্ন খাবারের আয়োজনও করে থাকেন। আর শবে বরাত মানেই পুরান ঢাকার বাহারি রুটির আয়োজন। পুরান ঢাকার অলিগলিতে দোকানিরা বিভিন্ন ধরনের রুটির পসরা সাজিয়ে বসেন এই দিনে। বিভিন্ন খাবারের মধ্যে ঢাকার মানুষের কাছে ফেন্সি রুটি কিংবা নকশা রুটি অন্যতম।
পুরান ঢাকার ইতিহাসে এই দিনে নানারকম বাহারি সব খাবারের মধ্যে বিশাল এক জায়গা দখল করে আছে ফেন্সি রুটি কিংবা নকশা রুটি। শবে বরাতের উপলক্ষেই বিশেষভাবে প্রস্তুত করা হয় এই রুটি।
পুরান ঢাকার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে জানা যায়, কেজিপ্রতি ২৫০-৭৫০ টাকায় বিক্রি হয় প্রতি পিছ রুটি। ফুল ও মাছ আকৃতির বাহারি নকশায় ফুটিয়ে তোলা হয় এ রুটি। শবে বরাতের দিনে বিশেষ চাহিদা থাকে এই ফেন্সি রুটির।
শবে বরাতের দিনে পুরান ঢাকার প্রতি গলিতেই বিভিন্ন বেকারি কিংবা কনফেকশনারির সামনে ফেন্সি রুটির পসরা সাজিয়ে বসেন দোকানিরা। এ ফেন্সি রুটি পুরান ঢাকার মানুষের কাছে নকশা রুটি নামেও পরিচিত। এ রুটি মিষ্টি জাতীয় হয়ে থাকে। তাছাড়া ফেন্সি রুটি দিয়ে খাওয়ার জন্য পাশাপাশি বিক্রি করা হয় বুটের হালুয়া, গাজরের হালুয়া। হালুয়া বাটিপ্রতি ২০০ টাকা থেকে শুরু হয়ে ৭০০ টাকা পর্যন্ত।
ক্রেতারা জানান, শবে বরাত উপলক্ষে এ রুটি কেনার চল রয়েছে তাদের মধ্যে। পরিবার পরিজন নিয়ে খাওয়ার পাশাপাশি প্রতিবেশী, আত্মীয়দের বাসায়ও পাঠানো হয় ঐতিহ্যবাহী ফেন্সি রুটি। পুরাতন ঢাকার আনন্দ বেকারি, বোম্বে বেকারি,ডিসেন্ট বেকারি, আলাউদ্দিন সুইটমিট সহ, নদীর ওপাড়ে কেরানীগঞ্জ এর জিনজিরা তে ও প্রসিদ্ধ এ রুটি পাওয়া যায়, জিনজিরার কুসুম বেকারি, শান্তা বেকারি,ডরিন বেকারি ও শৈলি বেকারি তে এই রুটি বিক্রিতে প্রসিদ্ধ।
ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রুটি নিতে লোকজন আসেন পুরান ঢাকার এই দোকানগুলোতে।
কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি
রাজিব হোসেন বাপ্পি