
ভারতে করোনাভাইরাসের মৃত্যুর মিছিলের মধ্যে দিল্লিতে মৃতদেহ সৎকারের জায়গার সংকট তৈরি হয়েছে। শ্মশানজুড়ে দৃশ্যমান শুধু লাশ আর লাশ। এত লাশ সৎকারে কুলাতে পারছে না শ্মশান। ফলে নয়াদিল্লির পুলিশ শ্মশানের সংখ্যা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।
জ্যেষ্ঠ এক পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নগরে বেশির ভাগেরই মৃত্যুর কারণ এখন কভিড। জায়গার অভাবে কভিড আক্রান্তদের জন্য নয় এমন শ্মশানেই প্রিয়জনকে দাহ করছেন অনেকে। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন, ওষুধ ও শয্যার অভাবে স্বজনদের হাহাকার বাড়ছে। সৎকারের জায়গার জন্য ছোটাছুটি করছেন স্বজনরা।
বৃহস্পতিবার দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৮০ লাখ ছাড়িয়ে যায়। দৈনিক সংক্রমণে এ পর্যন্ত বিশ্বের সব দেশের রেকর্ড ছাড়িয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৪৫২ জন। এক দিনেই রাজধানী নয়াদিল্লিতে মারা যান ৩৯০ জন। মহামারী শুরুর পর এক দিনের হিসাবে যা সর্বোচ্চ।
এ অবস্থার জন্য নির্বাচনী সভা এবং ধর্মীয় সমাবেশের অনুমোদন দেওয়াসহ মহামারীর এ সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের সমালোচনা বাড়ছে দেশটিতে। এদিকে বেশ কয়েকটি রাজ্যে এরই মধ্যে টিকার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। মজুদ কমে যাওয়ায় টিকাদান কর্মসূচি স্থগিত করেছে ২ কোটি মানুষের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাই।
কভিড-১৯ নিয়ে জাতীয় পর্যায়ের গবেষণায় নেতৃত্ব দেওয়া এই বিশেষজ্ঞ বলেন, এখন কী করছে ব্রাজিল? ফের কড়াকড়ি শিথিল করে দিল এবং মৃতের সংখ্যা প্রতিদিন ২ হাজারে স্থির করতে যাচ্ছে, যেন শুধু একটা রোগে প্রতিদিন ২ হাজার মানুষ মারা যাওয়া স্বাভাবিক ঘটনা।