উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় লঘুচাপের প্রভাবে সঞ্চারনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারণে দেশের চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসঙ্কেত এবং নদীবন্দরগুলোতে ১ নম্বর সতর্কসঙ্কেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। আবহাওয়াবিদ আফতাব উদ্দিন বলেন, যেহেতু মৌসুমি বায়ু সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে, ফলে এই সপ্তাহে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। এসবের প্রভাবে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। শনিবার (১২ জুন) দুপুর পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে কুমারখালীতে ৭৪ মিলিমিটার, । সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে নিকলীতে ৩৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে কুমারখালিতে ৭৪ মিলিমিটার,ঢাকায় ৩০ মিলিমিটার। এ ছাড়া ভোলা ও টেকনাফে ৭২, খেপুপাড়ায় ৬৮, হাতিয়ায় ৪৪, পটুয়াখালী ও রাজারহাটে ৪২, যশোরে ৩৯, টাঙ্গাইলে ৩৮, তেতুলিয়ায় ৩৬, রংপুরে ৩৫, দিনাজপুর, তাড়াস ও ঢাকায় ৩০, ফরিদপুরে ২৮, ঈশ্বরদীতে ২৭, সৈয়দপুরে ২৬, বগুড়া ও নেত্রকোনায় ২৫, সিলেট ও নিকলিতে ২৪, কুমিল্লায় ২৩, সাতক্ষীরায় ১৭, ডিমলা ও ময়মনসিংহে ১৩, বরিশালে ১২, চুয়াডাঙ্গা ও চাঁদপুরে ১১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়াও অন্য এলাকায় সামান্য সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। |