লকডাউনে অন্যরকম যুদ্ধ অফিসগামীদের

0
33
অফিসগামী কর্মকর্তা
অফিসগামী কর্মকর্তা

বেলায়েত মিয়া কাজ করেন একটি পোশাক কারখানায়। লকডাউনের প্রথম দিন থেকে শুরু হয়েছে তার কর্মস্থলে যাওয়ার নতুন এক যুদ্ধ। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় দ্বিগুণ ভাড়ায় কখনো হেঁটে, কখনো রিকশায় আবার কখনো মিনিট্রাকে চড়ে পৌঁছাতে হয়েছে গন্তব্যে।

বেলায়েত বলেন, প্রতিদিন পোশাক কারখানায় এমনিতেই যেতে দুর্ভোগে পড়তে হয়। তার ওপর লকডাউনে যুক্ত হয়েছে বেশি ভাড়ার খড়গ। গণপরিবহন না থাকায় রিকশাই এখন শেষ ভরসা।

শুধু বেলায়েত নন, মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে নগরের বিভিন্ন ব্যস্ততম মোড়ে এমন চিত্রের দেখা মেলে। বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অপেক্ষমাণ অফিসগামী মানুষের জটলা ছিল বেশি। সড়কে রিকশার পাশাপাশি বেশি চলাচল করতে দেখা গেছে প্রাইভেট গাড়ি।

বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, সাধারণ মানুষের ভালোর জন্য লকডাউন দেওয়া হলেও আদৌও মানুষ মানছে কিনা তা নিয়ে নিবিড় তদারকি নেই। আবার লকডাউন দিয়ে অফিস আদালত খোলা রাখার যৌক্তিকতাও নেই। কর্মস্থলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে যারা বাসা থেকে বের হয়েছেন তাদের কী পরিমাণ ভোগান্তি তা শুধু তারাই জানেন।

তিনি বলেন, ভালো ভাবে বেঁচে থাকার জন্য আমরা চাকরি করছি। কিন্তু অফিসে আসা-যাওয়াতে যে পরিমাণ খরচ হচ্ছে এতে মাস শেষে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হবে।

এদিকে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলছে কিনা তা তদারকিতে আজও (মঙ্গলবার) মাঠে নামছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল আলম অক্সিজেন এলাকায়, সনিয়া হক কর্ণফুলী সেতু এলাকায় এবং প্রতীক দত্ত নগরের একে খান এলাকায় অভিযান পরিচালনা করবেন বলে জানা গেছে।