রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড, ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

0
60
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড, ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড, ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৬০-৭০টি বেড, ফ্রিজ, অক্সিজেন সিলিন্ডার পুড়ে গেছে। অগ্নিকাণ্ডে আনুমানিক ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

রোববার (২ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে ২০নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ওই হাসপাতালে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট। প্রায় আধাঘণ্টার প্রচেষ্টায় হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-১৪-এর (এপিবিএন) পুলিশ সুপার (এসপি) নাইমুল হক। তিনি জানান, ১৪ এপিবিএনের ওয়ালা পালং পুলিশ ক্যাম্পের রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২০এক্স-িএর হেলিপ্যাডের পাশে অবস্থিত সারি আইসোলেশন অ্যান্ড ট্রিটমেন্ট সেন্টারে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। ওই স্থানে টহলরত পুলিশ আগুন দেখে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়।

নাঈমুল হক আরো জানান, পুড়ে যাওয়া করোনা আইসোলেশন সেন্টারটিতে অগ্নিকাণ্ডের সময় চারজন করোনা ও দুজন ডেঙ্গু রোগী এবং হাসপাতাল কর্মচারীসহ ১২ জন লোক অবস্থান করছিলেন। তবে তারা নিরাপদে বের হতে পেরেছে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হলেও প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করা হবে। 

ক্যাম্প-২০ এর বাসিন্দা রোহিঙ্গা আব্দুল জলিল জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে মানুষের সুর চিৎকারে ঘর থেকে বের হয়ে দেখি দাউ দাউ আগুন জ্বলছে। প্রথম হাসপাতাল (আইএমও পরিচালিত করোনা আইসোলেশন সেন্টার) সংলগ্ন এলাকায় আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পাই। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে পানি ছিটিয়ে আগুন নিভিয়েছেন।

কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে একটি করোনা হাসপাতাল পুড়েছে। তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে উখিয়া ফায়ার সার্ভিস পরে কক্সবাজার স্টেশন থেকে দুটি ইউনিট যোগ দেয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আসা হয়। ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত পরে জানা যাবে।