
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড বেভারেজ কোম্পানির কারখানার আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিন শ্রমিকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। আহত হয়েছেন ৩০ জনের বেশি। শুক্রবার (৯ জুলাই) সকাল ৯ঃ৩০ টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
অনেকেই এখনো ওই ভবনের ভেতরে আটকা পড়ে আছেন বলে জানান কারখানার অন্য শ্রমিক ও নিখোঁজের স্বজনরা।
বৃহস্পতিবার রাত ২টা পর্যন্ত অন্তত ২০ জন নিখোঁজ শ্রমিকের সন্ধান চেয়ে পুলিশের কাছে স্বজনরা এসেছেন বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (গ সার্কেল) আবির হোসেন।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জ জেলার উপ-পরিচালক আব্দুল আল আরিফিন জানান, ভোরের দিকে আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল, সকালে আবারো ভবনের ৪-৫ তলায় বেড়ে যায় আগুন। আমরা কাজ করছি। তিনজনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে, ভেতরে অনেকেই আটকা ছিলেন যাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তারা বের হতে পেরেছেন কি না বা তাদের ভাগ্যে কি ঘটেছে এখনি বলা যাচ্ছে না। হতাহতের সংখ্যা আরো অনেক বাড়তে পারে।
নিহতরা হলেন- সিলেট জেলার জ্যোতি সরকারের স্ত্রী স্বপ্না রানী (৪৫), দিনাজপুরের চিনিরবন্দর উপজেলার আনিসুর রহমানের ছেলে মোরসালিন (২৮) ও উপজেলার গোলাকান্দাইল নতুন বাজার এলাকার হারুন মিয়ার স্ত্রী মিনা আক্তার (৩৩)। আহতদের স্থানীয় ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত ওই কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক আশপাশের ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলো আগুন নেভাতে ছুটে যায়। পরে ঢাকার ইউনিটগুলোও যুক্ত হয়।