২১২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে রিং আইডি

0
49
২১২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে রিং আইডি
২১২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে রিং আইডি

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম রিং আইডি কমিউনিটি জবস খাতে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে উপার্জনের কথা বলে জনগণের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। সিআইডি বলছে, কেবল কমিউনিটি জবস খাত থেকেই গত মে মাসে ২৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, জুন মাসে ১০৯ কোটি ১৩ লাখ ও জুলাই মাসে ৭৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকা অবৈধভাবে সংগ্রহ করেছে রিং আইডি। তিন মাসে তারা হাতিয়ে নিয়েছে মোট ২১২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

শুক্রবার (১ অক্টোবর) সকালে তাকে গুলশানের নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে অর্থ আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর তথ্য পাচ্ছে সিআইডি।

রিং আইডি যেন অবৈধভাবে দেশের টাকা বাইরে পাচার করতে না পারে সেজন্য ইতোমধ্যে তাদের সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

শনিবার (২ অক্টোবর) সিআইডির মিডিয়া কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজাদ রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার রিং আইডির অবৈধ কার্যক্রম সম্পর্কে বিপুল পরিমাণ তথ্য সংগ্রহ করে তিন মাসে ২১২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার তথ্য পাওয়া যায়।

তাদের এসব সন্দেহজনক কার্যক্রম লক্ষ্য করে বেশ কিছুদিন আগে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার থেকে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) অনুসন্ধানের জন্য একটি চিঠি ইস্যু করা হয়।

বিএফআইইউ ইতোমধ্যে এ বিষয়ে তাদের অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে। এছাড়া রিং আইডির ইস্যুতে সাইবার পুলিশ সেন্টারে মানি লন্ডারিং বিষয়ে একটি অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান।

সিআইডির এ কর্মকর্তা বলেন, রিং আইডি প্রাথমিকভাবে একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও পরবর্তী সময়ে তারা বিভিন্ন সার্ভিস যোগ করে জনগণের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ আমানত সংগ্রহ করে।

এসব সার্ভিসের মধ্যে রয়েছে বৈদেশিক বিনিয়োগ, কমিউনিটি জবসসহ বিভিন্ন সার্ভিস, যার আড়ালে এ আমানত সংগ্রহের কার্যক্রম পরিচালনা করে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিপুল পরিমাণ জনগণ এ খাতে বিনিয়োগ করে।

এর আগেও তাদের করোনাকালীন ডোনেশনের মাধ্যমে জনগণের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহের বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে সন্দেহ পোষণ করা হয়েছিল। বর্তমানে সন্দেহের তালিকায় থাকা বিভিন্ন ই-কমার্স সাইটের মতো তারাও অস্বাভাবিক ডিসকাউন্টে বিভিন্ন প্রোডাক্ট বিক্রি ও ক্রেতাদের কাছ থেকে ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে লেনদেন পরিচালনা করছিল।