
রাজধানীতে তালাক বা বিবাহবিচ্ছেদ আবেদনের অধিকাংশই চাকরিজীবী এবং স্বাবলম্বী নারী। বর্তমানে দিনে গড়ে ৩৭টি তালাকের আবেদন করা হচ্ছে। জানা গেছে গড়ে ৭০ শতাংশ আবেদন করছেন নারীরা।
- ২০২০ সালে ঢাকায় তালাক আবেদন করেছেন ১২ হাজার ৫১৩ জন
- ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত আবেদন করেছেন ৫ হাজার ৪৮৭ জন
- শিক্ষিত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তালাকের প্রবণতা বেশি
২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর এবং ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) তালাকের তথ্য বিশ্লেষণ করে পাওয়া গেছে।
“ স্ত্রীদের করা আবেদনে কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে স্বামীর সন্দেহবাতিক মনোভাব, পরনারীর সঙ্গে সম্পর্ক, যৌতুকের জন্য নির্যাতন, মাদকাসক্তি, পুরুষত্বহীনতাসহ বিভিন্ন কারণ। অন্যদিকে স্বামীর অবাধ্য হওয়া, ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী না চলা, বদমেজাজ, সংসারের প্রতি উদাসীনতা, সন্তান না হওয়ায় স্ত্রীকে তালাক দিচ্ছেন স্বামীরা।”
প্রতিটি তালাকের ঘটনায়ই সুনির্দিষ্ট কিছু কারণ উল্লেখ রয়েছে।
ডিএনসিসি ও ডিএসসিসির জনসংযোগ বিভাগ সূত্র জানায়, ২০২০ সালে ডিএনসিসি ও ডিএসসিসিতে ১২ হাজার ৫১৩টি তালাকের আবেদন করা হয়েছে। অর্থাৎ মাসে গড়ে এক হাজার ৪২টির বেশি, যা দিনে গড়ে ৩৫টি, ঘণ্টায় একটিরও বেশি। এসব তালাকের কারণ স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ‘বনিবনা না হওয়া’।
এর মধ্যে স্ত্রীদের করা আবেদনে কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে স্বামীর সন্দেহবাতিক মনোভাব, পরনারীর সঙ্গে সম্পর্ক, যৌতুকের জন্য নির্যাতন, মাদকাসক্তি, পুরুষত্বহীনতাসহ বিভিন্ন কারণ।
১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী, তালাকের নোটিশ সিটি করপোরেশনের মেয়রের কার্যালয়ে পাঠানো হয়। প্রথমে সেখানে তালাকের আবেদন নথিভুক্ত হয়। তারপর সেখান থেকে তালাকের আবেদন স্বামী এবং স্ত্রী সিটি করপোরেশনের কোন অঞ্চলে বাস করেন, সেই অনুযায়ী ওই অঞ্চলে পাঠানো হয়।
পরে আবেদনকারী ও বিবাদী উভয়পক্ষকেই আপসের নোটিশ পাঠান সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট)। দুই পক্ষের মধ্যে আপস না হলে সিটি করপোরেশনের আর কোনো দায়িত্ব থাকে না।
আইন অনুযায়ী, আবেদনের ৯০ দিনের মধ্যে কোনো পক্ষ আপস বা প্রত্যাহার আবেদন না করলেও তালাক কার্যকর হয়ে যায়।