ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের কুদ্দুস মোল্লার বাড়ি থেকে শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে রহিমা বেগমকে উদ্ধার করে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ। এরপর রাত ২টার দিকে তাকে নিয়ে আসা হয় দৌলতপুর থানায়। রহিমা বেগমকে (৫৫) পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রবিবার রহিমা বেগমকে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই এর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে গতকাল শনিবার রাতে ফরিদপুরের বোয়ালমারি থেকে উদ্ধার করা হয় রহিমা বেগমকে। এ ঘটনায় রহিমা বেগমসহ আরও দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
জানা যায়, গত ২৭ আগস্ট রাত পৌনে ১১টার দিকে খুলনা মহেশ্বরপাশার নিজ বাড়ির দোতলা থেকে নিচে পানি আনতে নিয়ে নিখোঁজ হন রহিমা বেগম।
এ ঘটনায় দৌলতপুর থানায় মামলার পর পুলিশ ও র্যাব ছয়জনকে গ্রেফতার করে। ১৭ সেপ্টেম্বর দৌলতপুর থানা থেকে মামলাটি পিবিআই’কে তদন্তভার দেওয়া হয়।
এদিকে, রহিমা বেগমের স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে থাকার ঘটনাকে অপহরণ দাবি করেছে আসামিদের পরিবার। তারা হয়রানির অভিযোগ এনে দায়ের মামলার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (নর্থ) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ২৭ আগস্ট রাতে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হওয়ার পর রহিমা বেগম চট্টগ্রাম ও গোপালগঞ্জের মোকসেদপুরে ছিলেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।
১৭ সেপ্টেম্বর তিনি ফরিদপুরের সৈয়দপুরে কুদ্দুসের বাড়িতে যান। যেই বাড়িতে রহিমা বেগম ছিলেন সেখান থেকে কুদ্দুস ও আরেকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে রহিমা বেগম ওই বাড়িতে স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে ছিলেন।