যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে একটি লরির ভেতর থেকে অন্তত ৪৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, মৃতদের সবাই অভিবাসী।
স্থানীয় সময় সোমবার (২৮ জুন) এসব মরদেহের খোঁজ মিলে।
যুক্তরাষ্ট্রের এক অগ্নিনির্বাপণ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, লরি থেকে উদ্ধার করা আরও অন্তত ১৬ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন শিশুও রয়েছে।
এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় মৃতদেহ উদ্ধার হওয়া লরির ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। এসব ছবিতে বড় একটি ট্রাকের চারপাশে জরুরি পরিষেবায় নিযুক্ত বহু সংখ্যক কর্মীকে দেখা যাচ্ছে।
অন্যদিকে কেএসএটি নামক একটি টিভি চ্যানেল জানিয়েছে, বড় এই লরিটি সান আন্তোনিও শহরের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে একটি রেল ট্র্যাকের পাশে খুঁজে পাওয়া যায়।
সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃতদেহ উদ্ধার করা ওই লরির চালক পলাতক রয়েছেন এবং সান আন্তোনিও পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তারা নিখোঁজ গাড়িচালককে খুঁজছেন।
টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের এই সান আন্তোনিও শহরটি যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার (১৫০ মাইল) দূরে অবস্থিত।
এদিকে বিপুল সংখ্যক এই মানুষের মৃত্যুর জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে দায়ী করেছেন টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট। তার অভিযোগ, ‘তার (বাইডেনের) মারাত্মক উন্মুক্ত সীমান্ত নীতির ফলাফল’ হিসেবেই এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্সেলো ইব্রার্ড বলেছেন, লরিটি খুঁজে পাওয়া স্থানে মেক্সিকান দূত যাচ্ছেন। তিনি আরও বলেছেন, লরি থেকে উদ্ধারকৃত মৃত এসব মানুষের নাগরিকত্ব বা জাতীয়তা এখনও জানা যায়নি।
বিবিসি জানিয়েছে, কীভাবে এসব মানুষ মারা গেল তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয় এবং স্থানীয় পুলিশ এখনও এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেনি।
এছাড়া সান আন্তোনিও শহরের জলবায়ু গ্রীষ্মের মাসগুলোতে বেশ গরম থাকে এবং সোমবার এই শহরটিতে তাপমাত্রা পৌঁছায় ৩৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে (১০৩ ফারেনহাইট)।