টানা তৃতীয় বার নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রে সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত এনডিএ বৈঠকে।
৭ জুন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করবেন এনডিএ প্রতিনিধিরা। এদিকে মোদির উদ্দেশে নীতীশ বলেন, “সরকার গঠনে কোনও রকম দেরি করা চলবে না। যত দ্রুত সম্ভব কাজ সেরে ফেলতে হবে আমরা। সবকিছু দ্রুত মেটান।” এদিনই পটনা থেকে দিল্লিতে এসে পৌঁছন নীতীশ।
লোকসভা নির্বাচনের ফলঘোষণার পর এই মুহূর্তে চূড়ান্ত তৎপরতা দিল্লিতে। একদিকে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট সরকার গঠনের দাবি জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। অন্য দিকে, পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে জরুরি আলোচনায় বসেছে বিরোধীপক্ষ আই.এন.ডি.আই.এ জোটও। বুধবার সেই নিয়ে সরগরম রাজধানী। বিরোধীদের বৈঠকের আগেই এনডিএ-র বৈঠক বসে। সেখানেই মোদির নেতৃত্বে তৃতীয় বার সরকার গঠনে সিলমোহর পড়েছে বলে খবর।
এনডিএ-র বৈঠকের পর এদিন সোশ্য়াল মিডিয়ায় অমিত শাহ লেখেন, ‘সর্বসম্মতিতে এনডিএ-র নেতা নির্বাচিত হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন। মোদিজির দূরদর্শী নেতৃত্বে গত ১০ বছরে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন এবং সমাজ কল্যাণের নজির তৈরি হয়েছে। দেশবাসীর আস্থা পেয়ে আবারও দেশের সেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এনডিএ.
এনডিএ-র ২১টি সদস্য দলের তরফে যে প্রস্তাব স্বাক্ষরিত হয়েছে, তাতে লেখা হয়, ‘আমরা এনডিএ সহযোগীরা, সর্বসম্মতিতে নরেন্দ্র মোদিকে নেতা চয়ন করলাম’। এদিনের বৈঠকে মোদি, নীতীশ, শাহের পাশাপাশি, চন্দ্রবাবু নায়ডু, লাল্লন সিংহ, সঞ্জয় ঝা, একনাথ শিন্ডে-সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। শনিবার মোদি তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারেন বলে খবর।
নীতীশ যদিও জানিয়েছেন, তিনি এনডিএ-তেই থাকছেন। তবে আগেও একাধিক বার শিবির বদল করেছেন নীতীশ। তাই সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত টানটান উত্তেজনার আবহ তৈরি হয়েছে।