মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ ও ইজিবাইক চলাচল বন্ধের দাবি 

0
88
মোটরসাইকেল
৩ দিন মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা

সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে এবার ঈদযাত্রায় মহাসড়কে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ ও ইজিবাইক চলাচল বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। একই সঙ্গে সংস্থাটি বলছে, এবারের ঈদে অতীতের যে কোনো সময়ের থেকে প্রায় তিন গুণ বেশি যাত্রী মোটরসাইকেলে যাত্রা করতে পারে।

রোববার (২৪ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই কথা জানান।

বিবৃতিতে তিনি দাবি করেন, করোনা সংকটে গত দুই বছরে দেশে ১০ লাখ মোটরবাইক নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে। একই সময়ে রাস্তায় নেমেছে প্রায় ২০ লাখ ইজিবাইক। বর্তমানে ৩৫ লাখের বেশি বাইক ও ৪০ লাখের কাছাকাছি ইজিবাইক চলাচল করে। এবারের ঈদে জাতীয় মহাসড়কে এসব যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ভয়াবহ যানজট হতে পারে।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী আরো বলেন, ঈদে গণপরিবহন সংকটকে কাজে লাগিয়ে ঢাকা থেকে আশপাশের জেলাসহ বিভিন্ন দুর-দূরান্তে মোটরবাইকে ১২ লাখ ট্রিপ হতে পারে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন আন্তঃজেলায় রাইড শেয়ারিং পন্থায় আরো প্রায় ৪০-৪৫ লাখ ট্রিপ যাত্রী মোটরবাইকে বাড়ি যাবে। ঈদে দেশের জাতীয় মহাসড়কে ২০-২৫ লাখ মোটরসাইকেল রাস্তায় থাকবে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতি মনে করে, এসব মোটরবাইকে স্ত্রী-সন্তান, লাগেজ নিয়ে ভারসাম্যহীন অবস্থায় বেপরোয়াভাবে বাস-গাড়ির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে।

বিগত ঈদে ৩১৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৩ জন নিহত ৬২২ জন আহত হয়েছিলো জানিয়ে মোজাম্মেল হক বলেন, এর মধ্যে মোটরসাইকেলের ১৪৪টি দুর্ঘটনায় ১৩৯ জন নিহত, ১৯৯ জন আহত হয়। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪৫ দশমিক ২৮ শতাংশ, নিহত ৪৩ দশমিক ৩ শতাংশ এবং আহত ৩১ দশমিক ৯৯ শতাংশ।

সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ করা গেলে এবারের ঈদে ৫০ শতাংশ দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব বলে মনে করেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব।

এসময় তিনি মহাসড়কে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি রিকশা, অটোরিকশা, ইজিবাইক ও নসিমন-করিমন চলাচল বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।