
অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়টি যে অঞ্চল দিয়ে অতিক্রম করছে সেটা টেকনাফ থেকে ৫০-৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ দিকে। ‘মোখা’ মিয়ানমারের দিকে যাওয়ায় বাংলাদেশের ঝুঁকি কমেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বিশেষ করে কক্সবাজার, টেকনাফ এসব অঞ্চলে ঝুঁকির পরিমাণ অনেকটা কম। বেশি ঝুঁকি হবে মিয়ানমার ও তার দক্ষিণের অঞ্চলে।
রোববার বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁও আবহাওয়া অধিদপ্তর ভবনে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।
অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, ঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৯৫ কিলোমিটার। এটি দমকা হাওয়া আকারে ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। বাতাসের গতি আর বাড়ার সম্ভাবনা নেই, এখন আস্তে আস্তে স্থলভাগে আসতে থাকবে এবং দুর্বল হতে থাকবে।
তিনি বলেন, ঘণ্টায় ১৭ কিলোমিটার গতিতে ঝড়ের বডি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে এগোচ্ছে। পাহাড় ও গাছের কারণে এটি দুর্বল হতে থাকবে। সকাল ৬টায় কক্সবাজার থেকে ৩০৫ কিলোমিটার দূরে ছিল। সকাল ৯টায় দেখা যাচ্ছে ঝড়টি ২৫০ কিলোমিটার দূরে। এই গতি যদি অপরিবর্তিত থাকে তাহলে দুপুর ১২টা থেকে ৩টার মধ্যে ঝড়টি উপকূল অতিক্রম করবে।
আজিজুর রহমান বলেন, সকাল ১১টা পর্যন্ত ভাটা ছিল। এরপর থেকে জোয়ারের প্রবণতা শুরু হয়েছে এবং ৪টায় এটার পিক হবে। দুপুর ১২টা থেকে ৩টা, যে সময় মূল ঝড় অতিক্রম করবে তখন জোয়ার থাকবে। জলোচ্ছ্বাস তখন প্রবাহিত হবে। সেন্টমার্টিন যেহেতু একটি দ্বীপ, এখানে যদি ৮ ফুট উচ্চতার বা জোয়ারের সঙ্গে মিলে ১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হয় তাহলেও জলাবদ্ধতা থাকবে না। পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে পানি প্রবাহিত হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত এলাকায় ভারী বর্ষণ হবে। বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, চট্টগ্রামে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা নেই। তবে এদিকে যদি দীর্ঘ সময় বৃষ্টি হয় তখন অল্প বর্ষণেও পাহাড়ধস হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে টানা বৃষ্টি হবে না, হয়তো ৩ ঘণ্টায় অতি ভারী বর্ষণের ভূমিধস হতে পারে।