মে‌ডি‌কে‌লে চান্স পেয়েছে মেয়ে, আনন্দের হাসি ভ্যানচালক বাবার

0
50

একমাত্র রিক্সা ভ্যান চালিয়ে ৩ সন্তানকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার স্বপ্নে এগিয়ে চলেছেন ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধারিয়া বেলসাড়া গ্রামের ভ্যান চালক আফতাব রহমান।

একমাত্র ছেলেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর পাশাপাশি এবার মেয়ে আল্পনা আক্তার সুযোগ পেয়েছে মেডিকেল কলেজে ভর্তির। মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা-২০২২ এর ফলাফল প্রকাশিত হলে তার এই সুযোগের কথা প্রকাশ পায়।

আফতাবর রহমানের বাড়ী ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড় পলাশবাড়ী ইউনিয়নের ধারিয়া বেলসাড়া গ্রামে। ভিটেমাটি আর ভ্যান গাড়ী ছাড়া তার আর কোন সহায় সম্পদ নেই।

একমাত্র ছেলে মুন্না আলী দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিষয়ে চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত। এদিকে মঙ্গলবার মেয়ে আলপনা আক্তারের মেডিকেল কলেজ ভর্তি ফলাফল প্রকাশি্বারহলে জানা যায় সে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। এছাড়াও বড় মেয়ের বিয়ে দিয়ে পাত্রস্থ করেছেন আর ছোট মেয়ে পড়ছে উচ্চ মাধ্যমিকে।

একমাত্র ছেলেকে এতদিন পড়ালেখার খরচ দিয়ে আসছেন নিয়মিত রিক্সা ভ্যান চালিয়ে। এবার মেয়ে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগের খবরে খরচের চিন্তায় পড়েছেন তিনি। সংসারের খরচ যোগাতে প্রতিদিন রিক্সা ভ্যান চালানো ছাড়া আর কোন পথও নেই তার কাছে।

আফতাবর রহমান জানান, ভ্যান চালিয়ে ছেলেকে ঢাবিতে, মেয়ে দু’টোকে পড়াচ্ছি। ছেলে মুন্না আলীর ঢাবিতে ভর্তির সময় ২৫ শতক আবাদী জমির মধ্যে ৫ শতক জমি বিক্রি করে ভর্তির খরচ বহন করি। পরবর্তীতে তার পড়ালেখা খরচ যোগাতে গিয়ে অবশিষ্ট ২০ শতক জমিও বিক্রি করতে হয়েছে। এছাড়াও প্রতিমাসে পড়ালেখা বাবদ ৩-৪ হাজার টাকা ঢাকায় ছেলেকে পাঠানো, অন্য দুই মেয়ের পড়ালেখা খরচ এবং সাংসারিক ব্যয় বহনের একমাত্র মাধ্যম আমার ভ্যান গাড়ীটি। একদিন ভ্যানগাড়ী নিয়ে বের না হলে সংসারে চুলায় তার ভাতের হাড়ি ওঠে না।