পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান মন্তব্য করেছেন, দেশে মূল্যস্ফীতি যেভাবে বেড়েছে মানুষের বেতন-ভাতা সেভাবে বাড়েনি বলে।
বুধবার (০২ নভেম্বর) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি বাড়ার মূল কারণ তো আমাদের মনে রাখা উচিত। এটা আমাদের বাজারের ব্যর্থতা নয়। আমাদের বাজার এখন বিশ্ববাজারের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত। অন্যান্য বাজারের চাপও আমাদের এখানে এসেছে।
তবে দেশের বর্তমান মূল্যস্ফীতিকে নিম্নআয়ের দেশের জন্য ‘ভালো’ বলে দাবি করেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) সব ক্ষেত্রে শ্রমিকদের মজুরি বাড়াতে বলেনি। তারা শুধু চা শ্রমিক ও উপকূলীয় জেলেদের মজুরি বাড়ানোর কথা বলেছে। আমরা তো সম্প্রতি চা শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছি। মজুরি বাড়ানোর কাজ চলছে। সামনের দিনে তা আরও বাড়ানো হবে। আমিও মনে করি চা শ্রমিক ও উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেদের মজুরি বাড়ানোর দিকটা দেখা উচিত।
তিনি আরও বলেন, চা শ্রমিকদের মজুরি এক হাজার টাকা বাড়িয়ে দিলেও তারা অনেক সময় চা বাগান ছেড়ে যায় না। তারা ওই বাগানেই থাকতে চায়। কারণ, তারা আবহমান কাল ধরে এই গ্রাম-বাংলায় থাকে। এর একটা অন্যতম আর্থিক মূল্যও আছে। অনেকে ভাবেন এই শ্রমিকদের কাজে বাধ্য করা হচ্ছে। আসলে বিষয়টা এমন নয়। তবে তাদের রেশন বাড়ানো উচিত।
আইএমএফের ঋণে এলে দেশের অর্থনীতিতে স্বস্তি ফিরবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমার পকেটে ১০০ টাকা আছে, কেউ ১০ টাকা ধার দিলে কিছুটা ভালো। আইএমএফের ঋণে সাময়িক কিছুটা স্বস্তি মিলবে। তবে সরকার অস্বস্তিতে নেই।
দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সবাই তো বাজারে যায়, বিষয়টা এমন নয় আজকে দাম এক কালকে হঠাৎ আরেক হয়ে গেল। এমনিতেই তো কার্তিক মাসে ঘরে চাল কমে যায়। এটা নিয়মিত প্রক্রিয়া। মাসের শুরুতে পকেটে যেমন টাকা থাকবে, মাস শেষেও তেমন থাকবে- তা নয়। মাসের শেষ দিকে পকেটে অভাব থাকতেই পারে।
বৈঠকে আইএলওর ক্ষুদ্র ও মাঝারি এন্টারপ্রাইজ (এসএমই) বিশেষজ্ঞ গুনজান দালাকোটি, প্রধান টেকনিক্যাল উপদেষ্টা ইগোর বোস, জাতীয় প্রকল্প সমন্বয়ক অ্যানি ডং ও প্রোগ্রাম অফিসার খাদিজা খন্দকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।