মাহে রমজান : পবিত্র ও বরকতময় মাস

0
14
মাহে রমজান, রোজার ফজিলত, লাইলাতুল কদর, তারাবিহ নামাজ
মাহে রমজান : পবিত্র ও বরকতময় মাস

মাহে রমজান হল ইসলামের পবিত্রতম মাস। যা মুসলমানদের জন্য রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সময়। এটি হিজরি বছরের নবম মাস। এ মাসে এমন একটি রাত আছে, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। এই মাসে সারা বিশ্বের মুসলমানরা রোজা রেখে আত্মশুদ্ধি, ইবাদত-বন্দেগি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করেন।

রমজানের বিশেষত্ব

আল-কুরআন নাজিলের মাস – এই মাসে পবিত্র কুরআন নাজিল হয়েছে। যা মানবজাতির জন্য পথনির্দেশনা।
রোজা (সাওম) পালন – ভোর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সব ধরনের পানাহার ও খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকা ফরজ।
তারাবিহ নামাজ – এশার নামাজের পর বিশেষ সুন্নত নামাজ পড়া হয়।
লাইলাতুল কদর – হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ রাত, যা এই মাসের শেষ দশকের বিজোড় রাতে পাওয়া যায়।
সদকা ও জাকাত প্রদান – দরিদ্র ও অসহায়দের সাহায্য করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।

রমজানের ফজিলত

নবী করিম (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি ঈমান ও ইখলাসের সাথে রমজানের রোজা রাখে, আল্লাহ তার অতীতের সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেন।” (বুখারি, মুসলিম)
এই মাসে জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ মাসে বড় বড় শয়তানকে আটক করে রাখা হয়। যাতে মানুষ ভালো কাজের দিকে মনোযোগী হতে পারে।

রমজানের করণীয়

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কায়েম করা, বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত ও  জিকির করা। গরিব-দুঃখীদের সাহায্য করা। ধৈর্য, সংযম ও উত্তম আচরণ বজায় রাখা। সুস্থ খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা

রমজানের শিক্ষা

রমজান আত্মশুদ্ধির মাস। এটি আমাদের ধৈর্যশীলতা, সংযম, কৃতজ্ঞতা ও সহানুভূতির শিক্ষা দেয়। এই মাসের প্রতিটি মুহূর্ত মূল্যবান, তাই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য যথাযথভাবে ইবাদত করা উচিত।

রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস রমজান

রমজান মাসের প্রথম ১০ দিন রহমত, পরের ১০ দিন ক্ষমা ও মাগফিরাত এবং শেষ ১০ দিন জাহান্নামের শাস্তি থেকে নাজাত ও মুক্তির জন্য নির্ধারিত।

মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘এটি এমন একটি মাস, যার প্রথম ভাগে আল্লাহর রহমত, মধ্যভাগে গুনাহের মাগফিরাত এবং শেষ ভাগে দোজখের আগুন থেকে মুক্তিলাভ রয়েছে।’

আসুন, আমরা সবাই এই পবিত্র মাসে রোজা ও ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করি এবং পরকালীন মুক্তির জন্য প্রস্তুতি নেই।