
আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে প্রথমবার স্টাম্পে লাথি দেয়া এবং দ্বিতীয়বার স্টাম্প তুলে আছাড় দেয়ার ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন সাকিব আল হাসান।
ডিএল পদ্ধতিতে মোহামেডানের ৩১ রানে জয়ের পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন মোহামেডানের অধিনায়ক।
আবাহনীর ম্যানেজার মাসুদ ইকবাল মামুন জানান, ‘ঘটনার পর সাকিব এসেছিলেন আমাদের ড্রেসিংরুমে। তিনি আমাদের কাছে ওই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। সেখানে খালেদ মাহমুদ সুজনও ছিলেন। বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে। পরে দুজন বুক মিলিয়েছেন।
বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার তার আচরণকে মানবীয় ভুল হিসেবে উল্লেখ করে ও ভবিষ্যতে এমন কিছুর পুনরাবৃত্তি না করার প্রত্যাশা জানিয়ে লিখেছেন, ‘প্রিয় ভক্ত ও অনুসারীরা, মেজাজ হারিয়ে ফেলায় ও ম্যাচ নষ্ট করায় আমি সবার কাছে ভীষণভাবে দুঃখিত, বিশেষ করে, যারা বাড়িতে বসে খেলা দেখছিলেন। আমার মতো একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের এভাবে প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিত নয়। কিন্তু কখনও কখনও দুর্ভাগ্যক্রমে সবকিছুর বিপরীতে এমন ঘটনা ঘটে যায়। এই মানবীয় ভুলের জন্য আমি দুই দল, তাদের ম্যানেজমেন্ট, টুর্নামেন্টের অফিশিয়াল ও আয়োজক কমিটির কাছে ক্ষমা চাই। আশা করি, ভবিষ্যতে এমন কিছুর পুনরাবৃত্তি করব না। ধন্যবাদ ও ভালোবাসা সবার প্রতি।’
প্রথম ঘটনাটি ঘটে আবাহনীর ইনিংসের পঞ্চম ওভারের শেষ বলে। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে মুশফিককে আউট না দেয়ায় সাকিব লাথি মেরে স্টাম্প মাটিতে তুলে ফেলেন । পরে আম্পায়ারের সঙ্গে চরম রাগান্বিত ভঙ্গিতে কিছুক্ষণ ধরে কথা বলেন তিনি। তখন সতীর্থরা তাকে শান্ত করে অন্যদিকে নিয়ে যান।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে ষষ্ঠ ওভারের পঞ্চম বলের পর। বৃষ্টি শুরু হলে আম্পায়ার মাহফুজুর রহমান খেলা বন্ধের নির্দেশ দিয়ে মাঠকর্মীদের দিকে কাভার নিয়ে আসার ইশারা করেন। তখন মিডঅফে ফিল্ডিং করা সাকিব দৌড়ে গিয়ে আচমকা তিনটি স্টাম্পই তুলে ছুঁড়ে মারেন উইকেটে। এই দফায়ও আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি।