মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ এড়াতে নির্দেশিকাঃ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

0
83
মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ এড়াতে নির্দেশিকাঃ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ এড়াতে নির্দেশিকাঃ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

বিশ্বজুড়ে বাড়ছে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ। এখন পর্যন্ত ৩০টি দেশের ৭৮০ জন মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছে। এসব রোগীর অধিকাংশই ইউরোপের বাসিন্দা। মাঙ্কিপক্স যেন ব্যাপক রুপ না নেয় তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মারিয়া ভান কারখোভ মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ এড়াতে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা দিয়েছেন।

এসব নির্দেশিকার প্রথমেই বলা হয়েছে, সংক্রমিত রোগীকে অবশ্যই আইসোলেশনে রাখতে হবে। মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির স্পর্শ করা ও ব্যবহৃত জিনিসে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

যদি কোনো কারণে সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসতে হয় তবে যত দ্রুত সম্ভব সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। সাবান পানির বিকল্প স্যানিটাইজারও ব্যবহার করা যেতে পারে।

এ ছাড়া করোনা রোগীর মতোই মাঙ্কিপক্স রোগীর পরিচর্যা করার সময় মাস্ক ও গ্লাভস পরে থাকতে হবে। চিকিৎসককে অবশ্যই চিকিৎসা সেবা প্রদানের সময় মাস্ক, গ্লাভস, পিপিই কিটসহ যাবতীয় ভাইরাসনিরোধক পোশাক পরে তবেই কাজ করতে বলা হয়েছে। অন্তঃসত্ত্বা ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম এমন মানুষদের মাঙ্কিপক্স রোগীর সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে।

পৃথিবীর প্রতিটি দেশে এখনো তেমনভাবে মাঙ্কিপক্স না ছড়ার কারণে সেসব দেশে এসব নির্দেশিকা মেনে চলার নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যেন সারাবিশ্বে এই রোগের সংক্রমণ বা বিস্তাররোধ করা সম্ভব হয়।

মাঙ্কিপক্স রোগের উপসর্গ কী, তা কীভাবে ছড়াতে পারে এসব তথ্য সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি এসব তথ্যের ভিত্তিতে দ্রুত মাঙ্কিপক্স রোগীকে চিহ্ণিত করার কথাও বলেন ডা. মারিয়া ভান কারখোভ।

মাঙ্কিপক্সের চিকিৎসা ও টিকা যতক্ষণ পর্যন্ত আবিষ্কার না হচ্ছে তত দিন সংক্রমণ রুখতে সবাইকে রোগটি সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পরামর্শও দিয়েছে সংস্থাটি।

সুত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা