মধ্য রাতে মাওয়ায় পরীমনি

0
72
মধ্য রাতে মাওয়ায় পরীমনি
মধ্য রাতে মাওয়ায় পরীমনি

অসুস্থ হওয়ার কারণে অনেক দিন ধরেই বাসায় ছিলেন পরীমনি ও তাঁর স্বামী শরীফুল রাজ। দম বন্ধ হয়ে আসছিল। এ জন্য হাসপাতালেও যেতে হয় দুজনকে। সুস্থ হয়ে একটু স্বস্তির জন্য গত বুধবার রাতে বন্ধুদের নিয়ে ছুটে যান মাওয়া ঘাটে ইলিশ খেতে।

পরীমনি বলেন, ‘অসুস্থ হওয়ার কারণে অনেক দিন ধরেই বাসায় ছিলাম। দম বন্ধ হয়ে আসছিল। হুট করে সিদ্ধান্ত হলো মাওয়া যাব। শুনে রাজও নেচে উঠল। পারিবারিক কয়েকজন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে চলে গেলাম মাওয়া। নিয়ন আলোয় রাতের পথটা কী যে সুন্দর লাগছিল। যাওয়ার পথে ফাঁকা রাস্তায় কয়েক জায়গায় নেমেছি, অনেক ছবি তুলেছি। কিছু ছবি ফেসবুকে শেয়ারও করেছি।’

ইলিশ খেয়েছেন কি না এই প্রশ্ন শুনে অবাক কণ্ঠে পরিমনি বলেন, ‘মাওয়া যাব আর ইলিশ খাব না, তা কি হয়? ইলিশের কয়েকটা পদ খেয়েছি।’

পরীমনি বলেন, ‘রাজের ভালোবাসার ঋণ শোধ করা কঠিন। সব সময়ই আমাকে ছায়া দিয়ে রেখেছে সে। অনেক কেয়ার করে। প্রায়ই আমাকে খাইয়ে দেয়। এই যে কিছুক্ষণ আগে কালো ভুনা দিয়ে ভাত খাইয়ে দিয়েছে।’

অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর পরীমনি নিজেই বলেছিলেন, আগামী দেড় বছর কোনো কাজ করবেন না। এ কারণে তাঁর হাতের ছবিগুলো আটকে যাওয়ার শঙ্কায় পড়েছিলেন পরিচালক-প্রযোজকেরা। বিষয়টি পরিষ্কার করে পরীমনি বলেন, ‘চয়নিকা চৌধুরীর ওয়েব সিরিজ “কাগজের বিয়ে” শেষ করলাম।

অরণ্য আনোয়ারের “মা” সিনেমার বাকি কাজও শেষ করব আশা করছি। তবে “প্রীতিলতা” শেষ করা সম্ভব হবে না। কারণ, ওই ছবির দৃশ্যগুলোতে পরিশ্রম আছে। করতে গেলে শারীরিক সমস্যা হতে পারে। সঞ্জয় সমাদ্দারের “বায়োপিক”–এর কাজ এখনো শুরু হয়নি। মনে হয় না এ অবস্থায় আর শুরু করতে পারব।’