
করোনা ভাইরাসের গ্রাসে বিপর্যস্ত জনজীবনকে রাঙাতে বসন্ত বরণ-ভালোবাসা দিবস দরজায় কড়া নাড়ছে। ২১শে ফেব্রুয়ারির আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসও সামনে। এই তিন দিনকে ঘিরে ফুলের রাজধানী যশোরের গদখালী এলাকার ফুলের বাজার জমজমাট হয়ে উঠেছে। তবে অতি সম্প্রতি টিকা চালু হলেও করোনা নিয়ে সাধারণ মানুষের দ্বিধাদ্বন্দ্ব আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এবছর ফুলচাষ কম করেছেন চাষিরা।
ফলে করোনা-আম্ফানের যুগল ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়াটা পুরোপুরি সম্ভব হয়নি। সারা বছর বাজারে ফুল সরবরাহ করলেও এখানকার চাষিদের মূল টার্গেট থাকে এই তিন দিবস। এই তিন দিবসে ২০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্য থাকে তাদের। এবার সেই প্রত্যাশিত লক্ষ্যে পৌঁছায়নি গদখালীর ফুলবাজার। বসন্ত-ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে শুক্রবার পর্যন্ত গদখালীতে ৫ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ী নেতারা।
গতকাল শুক্রবার গদখালী ফুলবাজারে প্রতি ১০০ গোলাপ ফুল ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, রংভেদে গ্লাডিওলাস প্রতি শ ৬০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, রজনীগন্ধা ৭০০-৮০০ টাকা, জারবেরা ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা, চন্দ্রমল্লিকা ২০০-৩০০ টাকা, প্রতি হাজার গাঁদাফুল ৩০০-৩৫০ টাকা, প্রতি আঁটি জিপসি ও কামিনীপাতা ১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়।
বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, গত বছর করোনা ও আম্ফানে অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ বছর ৫ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে। গদখালীর সফল ফুলচাষি ইসমাইল হোসেন বলেন, গত বছরের থেকে এবার যারা ফুল বিক্রি করতে পারছে তাদের সবার লাভ হবে। কারণ চাহিদার থেকে ফুল চাষ কম হয়েছে। আমি তিন বিঘা জমিতে চন্দ্রমল্লিকা চাষ করেছি, ১ লাখ টাকা লাভের আশা করছি।
হাড়িয়া গ্রামের ফুলচাষি আবুল হাশেম বলেন, আমি এবার দুই বিঘা জমিতে গ্লাডিওলাস করেছি। লাভ হবে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। করোনার কারণে গত বছর প্রায় ৫০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। আশা করছি ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারব।