“কোপা আমেরিকার ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচকে ঘিরে চারদিকে চলছে হৈ চৈ। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারনে চলমান কঠোর লকডাউনে কেউ বাড়ির বাহিরে বের হতে না পারায় এর প্রভাব পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। বিশেষ করে ফেসবুকে বইছে তর্ক বিতর্কের ঝড়। কোথাও কোথাও আবার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে।”
গত ৬ জুলাই খেলা নিয়ে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা সমর্থকদের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। ফলে কোপা আমেরিকার ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে সংঘাতের আশঙ্কা থেকে পুলিশের বিশেষ টিম জেলায় মোতায়েন থাকবে। এছাড়া এবার জেলার কোথাও বড় পর্দায় খেলা দেখার সুযোগ দেওয়া হবে না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন রেজা বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকরে এমনিতেই ইউনিয়ন পর্যায়ের বিট পুলিশিংয়ের টিমগুলোর পাশাপাশি পুরো জেলায় পুলিশের ২৫টিরও অধিক বিশেষ টিম কাজ করছে। তবে কোপা আমেরিকার খেলাকে ঘিরে সমর্থকরা যেন সংঘাতে না জড়াতে পারে- সেজন্য বিশেষ টিমগুলো আরও বেশি তৎপর থাকবে। ম্যাচ শুরুর আগ থেকেই পুলিশের বিশেষ টিমগুলো বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় টহল দেবে।
তিনি বলেন, কেউ যেন ঘর থেকে বেরিয়ে বিশৃঙ্খলা করতে না পারে, সেজন্য বিশেষ নজরদারি থাকবে। খেলা দেখতে হবে ঘরে বসে। বাইরে বড় পর্দায় খেলা দেখার কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। গ্রাম পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদেরকেও এসব বিষয়ে বলা হয়েছে। তারা পুলিশকে সহযোগিতা করবেন। খেলাকে কেন্দ্র করে কাউকেই বিশৃঙ্খলা করতে দেওয়া হবে না।
উল্লেখ্য, গত ৬ জুলাই বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের দামচাইল বাজারে নোয়াব মিয়া (৬০) নামে এক ব্যক্তিকে মারধর করেন আর্জেন্টিনা সমর্থক জীবন ও তার সঙ্গীরা। এর আগে ওই দিন সকালে নোয়াব মিয়ার ভাতিজা ব্রাজিল সমর্থক রেজাউলের সঙ্গে খেলা নিয়ে জীবনের বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। এর জেরে জীবন ও তার সঙ্গীরা রেজাউলের চাচাকে একা পেয়ে মারধর করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ওইদিন রাতেই তিন আর্জেন্টিনা সমর্থককে মারধর করেন ব্রাজিল সমর্থকরা।