গুজরাটে বিষাক্ত মদ্যপানে কমপক্ষে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন আরও ২০ জনেরও বেশি মানুষ। তাদের মধ্যে অনেকের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮। অন্যদিকে আরেক ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু’র প্রতিবেদনে মৃতের সংখ্যা ১৮ জন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিষাক্ত মদ্যপানে মৃতদের অধিকাংশই শ্রমিক বা দিনমজুর। এছাড়া ‘ড্রাই স্টেট’ (মদ বিক্রি নিষিদ্ধ) বলে ঘোষিত গুজরাট রাজ্যে বিষাক্ত মদ্যপানে মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে।
দ্য হিন্দু বলছে, বিষাক্ত মদ্যপানের কারণে সোমবার গুজরাটে কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বোটাদ, ভাবনগর এবং আহমেদাবাদ হাসপাতালে ২০ জনেরও বেশি মানুষ চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গুজরাটের আহমেদাবাদ ও বোটাদ জেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে বিষাক্ত মদ্যপানে মৃত্যুর এই ঘটনা ঘটেছে। এসব এলাকার বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা গ্রামে নকল মদ বিক্রির সাথে জড়িত বলে জানা গেছে।
এদিকে এই ঘটনার পর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে গুজরাট সরকার। রাজ্যটির একজন ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ-এর নেতৃত্বে একটি বিশেষ তদন্ত দল (এসআইটি) গঠন করা হয়েছে।
দ্য হিন্দু বলছে, গুজরাট সরকার রাজ্যে মদ বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও গ্রামে গ্রামে যে অবৈধ মদের ব্যবসা বেড়েই চলেছে, এই ঘটনা সেটি সামনে এনেছে।
রাজ্যটির প্রবীণ কংগ্রেস বিধায়ক অমিত চাভদা বলেছেন, ‘অপরাধী ও পুলিশের যোগসাজশে এবং রাজ্যে বিজেপি নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতায় এখানে ব্যাপক বুটলেগিং (মদের অবৈধ উৎপাদন, বিতরণ বা বিক্রয়) চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মদের অবৈধ উৎপাদন, বিতরণ বা বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িতদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসিক ঘুষ নেয় পুলিশ।’
আম আদমি পার্টির প্রধান এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও বুটলেগিংয়ের জন্য গুজরাট সরকারের নিন্দা করেছেন। দুই দিনের জন্য রাজ্যটিতে সফরে যাওয়া এই নেতা বলছেন, ‘রাজ্যে (মাদক) নিষেধাজ্ঞা কেবল কাগজে-কলমে। এএপি ক্ষমতায় গেলে কঠোরভাবে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করবে।’