দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ঘোড়াঘাটে বিষমুক্ত ফসল চাষে পিছিয়ে নেই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী নারীরা। পরিবেশ বান্ধব কৌশলের মাধ্যমে বছরব্যাপী উচ্চ মূল্যের সবজি ও বারোমাসি তরমুজ করছেন তারা। তাদের উৎপাদিত ফসল দিনের দিন জনপ্রিয় হচ্ছে স্থানীয়দের মধ্যে। চলতি বছরে উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৪টি ইউনিয়নে একশ জন আদিবাসী নারী কৃষক ১ হেক্টর জমিতে তৃপ্তি ও মধুমালা জাতের বারোমাসি তরমুজ ও ৩ হেক্টর জমিতে বিষমুক্ত সবজি চাষ করেছেন।
ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ঘোড়াঘাট এপির বাস্তবায়নে ইনোভেশন প্রকল্পের আওয়তায় উপজেলা কৃষি অফিসের প্রযুক্তিগত কারিগরি সহযোগিতায় আদিবাসী নারীরা এসব ফসল ও তরমুজ চাষ করেছেন।
প্রদশনী গুলোতে মাটিতে মালচিং পেপারের নিচে রোপন করা বীজ থেকে চারা উঠে দুই পাশে দেওয়া বাঁশের তৈরি মাচার উপরে বড় হয়েছে গাছ। গাছে ঝুলছে তৃপ্তি ও মধুমালা জাতের তরমুজ। তরমুজগুলো যাতে ছিড়ে না পড়ে এজন্য ব্যবহার করা হয়েছে এক প্রকার নেটের ব্যাগ। মধুমালা জাতের তরমুজ ওজনে হয় এক থেকে দেড় কেজি আর তৃপ্তি জাতের তরমুজের ওজন দুই থেকে তিন কেজি। প্রতি কেজি তরমুজ ৬০ টাকা দরে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে।
পরিবেশ বান্ধব বিভিন্ন কৌশল যেমন- ফাঁদ পদ্ধতি ও জৈব বালাই নাশক ব্যবহার করে রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার ছাড়াই প্রদর্শনী গুলোতে উৎপাদন করছে বারোমাসি তরমুজ ও বিভিন্ন জাতের বেগুন, পটল, লাউ, ঝিঙা, শসাসহ নানা রকমের সবজি। কৃষকরা নিরাপদ সবজি উৎপাদনে ব্যবহার করছেন ফেরোমন ফাঁদ, নিম পাতা ও বিষ কাটালের রস।
উপজেলার সিংড়া ইউনিয়নের শীধলগ্রামের কৃষাণী সুচিত্রা মাহাতো বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড ভিশন এবং কৃষি অফিসের সহযোগিতায় আমরা সবজি ও তরমুজের চাষ করছি। বিষমুক্ত হওয়ায় স্থানীয় ভাবে চাহিদা থাকায় এই তরমুজ চাষ করে আমরা খুবই লাভবান হচ্ছি। ওয়াল্ড ভিশন আমাদের বীজ, কাগজ ও সার দিয়ে সহযোগিতা করেছেন।’
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. এখলাছ হোসেন সরকার বলেন, ‘প্রান্তিক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী নারী কৃষকরা তাদের বসতভিটার ছোট জায়গায় বিষমুক্ত নিরাপদ ফসল ও বারোমাসি তরমুজ চাষ করে আর্থিক ভাবে বাড়তি আয় করতে পারে। সেজন্য তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি ও তাদেরকে সব ধরনের কারিগরি সহযোগিতা দিয়েছি।’