বিশ্বব্যাপী ব্যাপক আয়োজনের মধ্য দিয়ে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব খ্রিস্টমাস (শুভ বড়দিন) যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হচ্ছে।
২৫ডিসেম্বর এই দিনে খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেন বলেই তার অনুসারী-খ্রিস্টধর্মাবলম্বীরা দিনটিকে ‘শুভ বড়দিন’ হিসেবে উদযাপন করে থাকেন।
ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোতে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের বিস্তারের কারণে জনসমাগমে কিছুটা কড়াকড়ি আরোপ করা হলে আয়োজন-উদযাপনে ছিল না কোনো ঘাটতি।
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের বিশ্বাস, সৃষ্টি-কর্তার মহিমা প্রচারের মাধ্যমে মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতেই প্রভু যিশুর পৃথিবীতে আগমন ঘটেছিল।
বিশ্বব্যাপী অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশের খ্রিস্টধর্মানুসারীরাও আগামীকাল শনিবার যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্য্য ও আচারাদি, আনন্দ-উৎসব এবং প্রার্থনার মধ্যদিয়ে ‘শুভ বড়দিন’ উদযাপন করবেন।
এ উপলক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গির্জাগুলোকে সাজানো হয়েছে নতুন-আঙ্গিকে। এছাড়াও আজ শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে বিভিন্ন গির্জা এবং তারকা-হোটেলগুলোতে ব্যবস্থা করা হয়েছে আলোকসজ্জার।
এদিকে বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খ্রিস্টধর্মাবলম্বীসহ সকলের শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে শুক্রবার সন্ধ্যায় পৃথক বাণী প্রদান করেছেন।
বড়দিন উপলক্ষ্যে বিভিন্ন দেশে গীর্জাগুলোতে বিশেষ আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কৃত্রিমভাবে স্থাপন করা হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি ও শান্তাক্লজ । বড়দিনের প্রক্কালে আজ রাতে বিভিন্ন গির্জায় বিশেষ প্রার্থনাও অনুষ্ঠিত হবে। কাল শনিবার সকাল থেকে শুরু হবে বড়দিনের প্রার্থনা।