বিশ্বজুড়ে করোনায় দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। সারা বিশ্বে করোনায় গত একদিনে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন দেড় শতাধিক মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে ৩৭ হাজারের নিচে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। অবশ্য রাশিয়ার সঙ্গে দৈনিক মৃত্যুতে শীর্ষে উঠে এসেছে রোমানিয়াও। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৮ কোটি ৭৮ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৮ লাখ ৭১ হাজার।
মঙ্গলবার (৯ মে) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৬৮ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে ৬০ জনের বেশি। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৮ লাখ ৭১ হাজার ৩৭৯ জনে।
একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ হাজার ৭১৯ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ১০ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮ কোটি ৭৮ লাখ ৬৮ হাজার ৫৭২ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৩১০ জন এবং মারা গেছেন ১৫ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৩৮ লাখ ২ হাজার ৭৩৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৭৪ হাজার ৬৬৯ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ১১৮ জন এবং মারা গেছেন ২৮ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ২৮ লাখ ৮১ হাজার ৭৬৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৫৫৩ জনের। একইসময়ে রোমানিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৪৬৩ জন এবং মারা গেছেন ২৮ জন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৮ হাজার ১৬৪ জন এবং মারা গেছেন ৭ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ১২ লাখ ৮৫ হাজার ৯১০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৪ হাজার ৫৩৪ জনের। একইসময়ে থাইল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬৯৯ জন এবং মারা গেছেন ১০ জন।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৮১ জন এবং মারা গেছেন ৬ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি ৬৭ লাখ ৭১ হাজার ১৩১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১১ লাখ ৬২ হাজার ৪৬৯ জন মারা গেছেন। একইসময়ে নিউজিল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭৫১ জন এবং মারা গেছেন ৭ জন।
ফ্রান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৫৯ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ২১ হাজার ৯৪৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৬৬ হাজার ৮১১ জন মারা গেছেন। একইসময়ে ইন্দোনেশিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ১৪৯ জন এবং মারা গেছেন ২১ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।