বিশ্বকে জলবায়ু অভিবাসীদের দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়ার আহ্বান

0
25
কপ-২৬ঃ ১০টি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল করেছে বাংলাদেশ
কপ-২৬ঃ ১০টি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল করেছে বাংলাদেশ

“বিশ্বকে জলবায়ু অভিবাসীদের দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়ার আহ্বান”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

স্কটিশ পার্লামেন্টে “কল ফর ক্লাইমেট প্রসপারিটি” শীর্ষক অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেছেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, নদীভাঙন, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, বন্যা ও খরার মতো প্রাকৃতিক ঘটনায় প্রভাবিত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়া জলবায়ু অভিবাসীদের দায়িত্ব বিশ্বকে অবশ্যই ভাগ করে নিতে হবে। ক্ষতির বিষয়টি অবশ্যই সঠিকভাবে সমাধান করতে হবে।

বাংলাদেশের সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশে ইতোমধ্যে জলবায়ু বাস্তুচ্যুত ৬০ লাখ মানুষ রয়েছে। আরও অতিরিক্ত ১.১ মিলিয়ন মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের বোঝা যোগ হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলা এক্ষেত্রে অতিরিক্ত চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।

এদিন ‘অ্যা বাংলাদেশ ভিশন ফর গ্লোবাল ক্লাইমেট প্রসপারিটি’ শিরোনামে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন শেখ হাসিন। এসময় বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা এবং সিভিএফ দূত সায়মা ওয়াজেদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। স্কটিশ পার্লামেন্টে পৌঁছুলে স্পিকার অ্যালিসন জনস্টোন শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান।

কার্যকর ও পর্যাপ্ত জলবায়ু অর্থায়নকে সমৃদ্ধি অর্জনের মূল চাবিকাঠি উল্লেখ করে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এমসিপিপি (মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান) সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য বেশ কিছু প্রস্তাবনা পেশ করেন।

ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ) এবং ভালনারেবল২০ (ভি২০) সভাপতি শেখ হাসিনা একটি প্রস্তাব উত্থাপন করে বলেন, প্রধান কার্বন নির্গমনকারী দেশগুলেকে অবশ্যই ব্যাপক ভিত্তিক এনডিসি (জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান) পেশ এবং বাস্তবায়ন করতে হবে। উচ্চাভিলাষী প্রভাব প্রশমন প্রয়াস ছাড়া, শুধুমাত্র অভিযোজন ব্যবস্থা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাবগুলোকে ধীর, বন্ধ এবং পাল্টানোর জন্য যথেষ্ট নয়।