কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়েতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজের ধাক্কায় দুটি গরুর মৃত্যু হলেও সেখানে ১৬০০ মিটার জায়গায় সীমানা প্রাচীর দেওয়া যাচ্ছে না। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় বলছে, সীমানা জটিলতাই স্থায়ী প্রাচীর নির্মাণে বড় বাধা।
রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ২৩তম বৈঠকে কক্সবাজার বিমানবন্দরের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ নিয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ‘সীমানা জটিলতার’ বিষয়টি জানানো হয়।
বৈঠকের কার্যবিবরণীতে থেকে জানা যায়, বিমানবন্দরের বিমানের সঙ্গে গরুর থাক্কা লাগার পর সংসদীয় কমিটি কক্সবাজার বিমানবন্দরের নিরাপত্তার জন্য ফেন্সিং নির্মাণের সুপারিশ করে। আর অরক্ষিত ওই বিমানবন্দরটি সুরক্ষিত করার সুপারিশ করে। এ সুপারিশ বাস্তবায়ন অগ্রগতিতে এ তথ্য জানায় মন্ত্রণালয়।
সেখানে বলা হয়, কক্সবাজার বিমানবন্দরের অপারেশনাল এলাকার চারিদিকে স্থায়ী সীমানা প্রাচীর ও লিংক ওয়্যার ফেন্সিং স্থাপনের মাধ্যমে নিরাপত্তা রক্ষা করা হচ্ছে। পারিপার্শ্বিকতার কারণে এ বিমানবন্দরের নিরাপত্তার স্বার্থে লিংক ওয়্যার ফেন্সিংয়ের পরিবর্তে স্থায়ী সীমানা প্রাচীর নির্মাণের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে লিংক ওয়্যার ফেন্সিংয়ের পরিবর্তে স্থায়ী সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ চলমান।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, রানওয়ের পূর্ব দিকে ঝিনুক মার্কেট এলাকায় (১৩০ মিটার) এবং পানিকুয়া পাড়ায় (১৪৭০ মিটার) সীমানা জটিলতা এবং অবৈধ বসবাসকারী পরিবার স্থানান্তর/উচ্ছেদ না হওয়ায় প্রায় ১৬০০ মিটার এলাকায় স্থায়ী সীমানা প্রাচীর নির্মাণ সম্ভব হচ্ছে না। তবে ওই এলাকায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণকাজের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে এবং এ কাজে সহযোগিতার লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গত ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে রানওয়ের ১৭ নম্বর ডেল্টা পোস্টের সামনে বিমান উড্ডয়নের সময় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের (BG-438) ডান পাশের পাখায় ধাক্কা লেগে গরু দুটি ঘটনাস্থলেই মারা যায়। তবে বিমানটি সফলভাবে উড্ডয়ন করে ঢাকায় চলে যায়। বিমানের ৯৪ জন যাত্রীর কেউ হতাহত হননি। বিমানটিরও কোনো ক্ষতি হয়নি।