সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজের নির্দেশে আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত করোনা মহামারির কারণে দেশটির সঙ্গে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় থাকা ২০টি দেশের প্রবাসীদের ভিসা ও আকামার মেয়াদ বৃদ্ধি করে দেওয়া হবে সম্পূর্ণ বিনা খরচে।
সৌদি আরবের সঙ্গে গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর, লেবানন, তুরস্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, আয়ারল্যান্ড, পর্তুগাল, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান ও জাপানসহ মোট ২০টি দেশের যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
সৌদি প্রেস এজেন্সি জানায়, করোনা মহামারির সঙ্কটকালে বাদশাহ সালমানের নির্দেশে অর্থমন্ত্রীর দেওয়া ইকামা ও ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে। যাতে করে নাগরিক ও বাসিন্দাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং এর প্রশস্তকরণে সরকারের অব্যাহত প্রচেষ্টা সফল ও সার্থক হয়। তাদের উপর অর্থনৈতিক ও আর্থিক প্রভাব যেন না পড়ে।
জানা গেছে, জেনারেল পাসপোর্ট অধিদপ্তর (জওয়াজাত) জাতীয় তথ্য কেন্দ্রের সহযোগিতায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই সম্প্রসারণ করা হবে বলে নিশ্চিত করেছে। এদিকে, করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সৌদি আরবে গিয়ে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে প্রবাসী কর্মীদের। এতে করে বাড়তি ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের।
গত রবিবার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রবাসীদের বাড়তি খরচের চাপ কমাতে ২৫ হাজার টাকা করে ভর্তুকি দেবে বাংলাদেশ সরকার।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে সৌদি সরকারের জারি করা নির্দেশনা অনুযায়ী ২০ মে থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত যেসব সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মী ছুটিতে নিজ খরচে বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন পালন করেছে বা করবে তাদের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড থেকে এই ভর্তুকি দেওয়া হবে। এই ভর্তুকি সংশ্লিষ্ট কর্মী বা তার মনোনীত প্রতিনিধির ব্যাংক একাউন্টে প্রেরণ করা হবে।