গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় নিরীহ কৃষক বাবু সতীশ চন্দ্র রায় (ঠাকুর) এর নৃশংস হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করেছে নিহতের স্বজনেরা ও এলাকার সর্বস্তরের জনগণ।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এলাকাবাসীর আয়োজনে বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা ব্যাপী এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ পালিত হয়।
মানবন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, নিহতের স্ত্রী শিখা রাণী রায়, পুত্র জয় রায়, স্বাধীন রায়, সৌরভ রায়, কন্যা ঐশী রায়, অধ্যাপক বিধান পান্ডে, অজয় রায়, সুবল রায়, রঞ্জন রায়, কেনা মন্ডল, ভজন রায়, বিবেক রায়, দীনেশ রায়, প্রমথ রায়, নীল রতন মন্ডল, সুব্রত রায়, অজিত রায়, অপূর্ব রায় প্রমুখ।
মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, গত মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে স্বপন মৌলিকের হুকুমে খুনি সুদীপ্ত মৌলিক, রবি মৌলিক, মনোজ মৌলিক, বংকেশ মৌলিক, অরুণ মৌলিক, তরুণ মৌলিক, তপণ মৌলিক, নারায়ণ মৌলিক, বিষা মৌলিক, সাগর মৌলিক সহ অজ্ঞাত ৫/৬ জন মিলে নিরীহ কৃষক বাবু সতীশ রায়কে নৃশংসভাবে হাতুড়ি ও রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
এসময় চাচা সতীশ রায়কে বাঁচাতে তার ভাইপো দীপঙ্কর রায় ঠেকাতে এলে তাকেও হামলাকারীরা পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে এ ঘটনায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর মুকসুদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা (মুকসুদপুর থানা মামলা নং-১৮) হলেও পুলিশ আজ পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হননি। মানবন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, খুনি পরিবারের একই বংশের সচীন মৌলিক নামের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করছে না তিনি ডিএমপি-তে কর্মরত রয়েছেন।
আদৌ নিহতের পরিবার সুষ্ঠু বিচার পাবেন কি-না? আমরা জানিনা। আমরা মাননীয় আইন উপদেষ্টা, মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সহ মাননীয় গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের নিকট সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাই।
মুকসুদপুরের চাঞ্চল্যকর বাবু সতীশ রায় হত্যা মামলায় অভিযুক্তদের পক্ষে তদবির করার অভিযোগের বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সচীন্দ্র নাথ মৌলিকের বক্তব্য নিতে তার ব্যবহৃত ব্যক্তিগত মুঠোফোনে ০১৭….৮৯৮ একাধিকবার কল করেও সংযোগটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে মুকসুদপুর থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তফা কামাল বলেন, আইন সবার জন্য সমান, হত্যা মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুতই আমরা দোষীদের গ্রেফতারে সমর্থ হবো।
কেএম আবুবক্কার : গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধী